হৃদরোগীদের জন্য বড় স্বস্তির খবর মিলেছে। ২৭টি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের ৪৪ ধরনের হার্টের রিংয়ের দাম কমিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফের স্বাক্ষর করা এক আদেশে ২৭টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের স্টেন্টের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। স্টেন্ট আমদানি প্রতিষ্ঠান ভেদে খুচরামূল্য সর্বনিম্ন ১৪ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১ লাখ ৪০ হাজার ৫০০ টাকা দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী শনিবার মহান বিজয় দিবসে নতুন দাম কার্যকর হওয়ার কথা।
এদিকে, হৃদরোগের চিকিৎসা প্রদানকারী সব হাসপাতালের নোটিশ বোর্ডে হার্টের রিংয়ের মূল্য তালিকা প্রদর্শনের নির্দেশ দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এর আগে ২৬ জুন তিন ধরনের রিংয়ের (স্টেন্ট) দাম কমানো হয়।
স্টেন্টের দাম কমানোর তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ও আইন কর্মকর্তা মো. নুরুল আলম বলেন, করোনারি স্টেন্ট আমাদের দেশে তৈরি হয় না। সরকার এর মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে। যাতে মানুষের সুবিধা হয়। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দাম নিলে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, হৃদ্রোগ আক্রান্ত কিছু রোগীর রক্তনালি সরু বা বন্ধ (ব্লক) হয়ে যায়। এতে রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়। রক্ত চলাচল সচল রাখতে স্টেন্ট ব্যবহার করা হয়। স্টেন্ট অনেকটা কালভার্টের মতো কাজ করে।
হার্টের রিংয়ের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সকল হাসপাতালের নোটিশ বোর্ডে তালিকাটি জনগণের জন্য প্রদর্শন করতে হবে। রিংয়ের নাম, সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য (এমপিআর) এবং উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করে পৃথক ক্যাশমেমো দিতে হবে। রোগীকে ব্যবহৃত হার্টের রিংয়ের প্যাকেট সরবরাহ করতে হবে।
প্যাকেটের গায়ে উৎপাদন, রিংয়ের মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ, যে দেশ থেকে আমদানি করা হয়েছে সে দেশের নাম ও ওই দেশের মূল্য উল্লেখ সম্বলিত রিং যেন বিশেষজ্ঞদের ব্যবহার করেন সে নির্দেশনা থাকতে হবে।
সূত্র; আরটিভি অনলাইন
আরএইচ/অননিউজ