শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালের লিফট আটকে গিয়ে চারজন অসুস্থ হয়েছেন। পরে লিফটের দরজা ভেঙে ভেতরে থাকা রোগী ও স্বজনদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি দল।
শুক্রবার (২১ জুলাই) হাসপাতালের ৯তলা ভবনের নিচতলায় ওই ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় অসুস্থ নকলা উপজেলার বাছুর আলগা গ্রামের মো. নাঈমকে (২১) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
হাসপাতাল ও ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, এদিন দুপুর দেড়টার দিকে জেলা সদর হাসপাতালের ৯তলা ভবনের একটি লিফটে ১৮ থেকে ২০ জন রোগী এবং তাদের স্বজনেরা উপরতলা থেকে নিচতলায় আসছিলেন। কিন্তু ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী থাকায় ভবনের নিচতলায় এসে লিফটটি আটকে যায়। ওই সময় ভেতরে থাকা রোগী ও স্বজনেরা আতঙ্কে চিৎকার ও কান্নাকাটি করতে থাকেন।
পরে সংবাদ পেয়ে শেরপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে লিফটের দরজা ভেঙে ভেতর থেকে প্রায় ২০ জনকে উদ্ধার করেন। ওই সময় আতঙ্ক ও গরমে অন্তত ৪ জন অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাদের হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হয়। আর দরজা ভেঙে ফেলায় লিফটটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, ঘটনার সময় লিফটম্যান হাসপাতালে ছিলেন না। তার অবহেলার কারণে এর আগেও একাধিকবার লিফট আটকে গিয়েছিল।
লিফটম্যান শফিকুল ও আতিকুল স্বীকার করে জানান, ঘটনার সময় তারা হাসপাতালের মসজিদে জুম্মার নামাজ আদায় করছিলেন।
এ ব্যাপারে জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এফআর/অননিউজ