বর্তমানে হিজাব পরিধানকারী নারীর সংখ্যা নেহাত কম নয়। হিজাব যারা পরেন, তাদের সাধারণত দীর্ঘ সময় ধরে চুল ঢাকা থাকে। এতে মাথায় ঠিকমতো বাতাস প্রবেশ করতে পারে না। ফলে মাথার ত্বক ঘেমে যায়। অন্যদিকে মাথার ত্বক থেকে প্রাকৃতিকভাবে কিছু তেল নিঃসৃত হয়। ঘাম আর তেল মিলেমিশে মাথার ত্বককে চটচটে করে। এতে চুলকানি, র্যাশ, খুশকি মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ জন্য হিজাবি নারীদের চুলের বিশেষ যত্ন প্রয়োজন।
যারা গোসলের পর চুল না শুকিয়ে হিজাব পরেন, তাদের চুলে দুর্গন্ধ ও খুশকি হতে পারে। এমনকি উকুন হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। হিজাব পরার আগে পানি বা ঘামে ভেজা চুল ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে হবে। বাইরে থেকে ফিরে হিজাব খুলে একই কাজ করতে হবে। চুল শুকানোর জন্য সবচেয়ে ভালো ফ্যানের বাতাস। কারণ, হট সেটিংয়ের গরম বাতাসে চুলের ক্ষতি হতে পারে। যারা হিজাব পরেন না, তাদের জন্যও এটি প্রযোজ্য।
হিজাব পরার আগে চুল খুব হালকা করে বেঁধে নেওয়া উচিত। বেশি শক্ত করে চুল বাঁধলে চুলের গোড়া নরম হয়ে যায়। এতে চুল পড়ার আশঙ্কা থাকে। চুল বাঁধতে স্ক্রাঞ্চি ব্যবহার করুন। এটি বেশ কোমল এবং কোনো ধরনের ড্যামেজ করে না। লম্বা চুল বেণি, পনিটেইল বা হালকা খোঁপা করলেই চলবে।
হিজাব নিয়মিত ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। এতে মাথার ত্বকের ব্যাকটেরিয়াঘটিত সংক্রমণ এড়ানো যাবে, আর কখনো কোনোভাবেই অন্যের হিজাব ব্যবহার করা যাবে না। চুল নিয়মিত ভালো করে পরিষ্কার করে রাখতে হবে। কারণ, হিজাব পরলে ঘাম আর তেলের জন্য মাথার ত্বকে খুশকি হয়ে থাকে। তাই সপ্তাহে অন্তত তিন দিন ভালো মানের শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে।
যেসব শ্যাম্পুতে সোডিয়াম ক্লোরাইড অর্থাৎ লবণ, সোডিয়াম স্যালিসাইলেট, শিয়া সিড অয়েল সানফ্লাওয়ার অয়েল, মাইসিলার ওয়াটার ও মিন্ট আছে, সেসব শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। যা মাথার ত্বকের মৃতকোষ পরিষ্কারে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এ ছাড়া মাথার ত্বকের অতিরিক্ত শুষ্কতার সমস্যা দূর করে, এর ময়শ্চার লেভেল ঠিক রাখে।
এই প্রাকৃতিক উপাদানগুলো খুশকি তাড়ানোর পাশাপাশি চুলে পুষ্টি জোগায়। মাথার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রেখে চুলকে কোমল ও মসৃণ করে এবং এর বৃদ্ধির গতি বাড়িয়ে দেয়।