দেশে নতুন করে হুহু করে করোনার সংক্রামন বাড়লেও দিনাজপুরের হিলিতে ওএমএস এর বিক্রয় কেন্দ্রে পণ্য ক্রয় বিক্রয়ে মানা হচ্ছেনা কোন ধরনের স্বাস্থ্যবিধি।গায়ের সাথে গা ঘেষে দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে পণ্য নেওয়ার জন্য মানুষজন অপেক্ষা করছেন। অধিকাংশ মানুষেরই মুখে নেই মাস্ক দুয়েকজনের মুখে থাকলেও তা থুতনিতে নামিয়ে রাখছেন। এতে করে করোনা সংক্রামনের আশংকা তৈরি হয়েছে।
ওএমএস এর পণ্য নিতে আসা সুজন হোসেন বলেন, আমার মাস্ক আছে আমি পান খাচ্ছিলাম যার কারনে মাস্কটা একটু খুলে রেখেছি। আমি টিকার দুই ডোজ দিয়েছি তারপরেও মাস্ক পড়তেই হবে ভালো হলেও মাস্ক পড়তে হবে না হলেও পড়তে হবে।নিজের স্বাস্থ্যঝুকির কথা মাথায় রেখে মাস্ক পড়তে হবে। তবে আমার কোন সমস্যা নেই আরো অনেকে আছে যাদের কারো মাস্ক নেই তাদের বলেন।
পণ্য নিতে আসা ইসমাইল হোসেন বলেন, তাড়াতাড়ি না আসলে আটা ফুরিয়ে যায় যার কারনে বাড়ি থেকে খুব দ্রুত চাল ও আটা নেওয়ার জন্য বের হয়ে বাজারে আসছি যার কারনে মাস্ক নেওয়ার কথা স্মরন ছিলোনা।
পণ্য নিতে আসা ইয়াসির আলী বলেন, মাস্ক আমার পকেটে আছে কিন্তু পড়িনি। কেন জানতে চাইলে বলেন চীন করছে দোষ আর আমাদের দেশের মানুষের কষ্ট। চীন মেশিনে করে তুলছে আর টাংকি ভড়ে বাংলাদেশে ছেড়ে দিচ্ছে
পণ্য নিতে আসা শিউলি আকতার বলেন, বাংলাদেশে কোন করোনা নেই আমাদের দেশ খুব সুন্দর আছে সেই সাথে আমাদের এলাকাতে কোন করোনা নেই। আমাদের এখানে করোনা নেই এখনো কারো হয়নি তবে বাহিরের সাইটে অনেকের করোনা আছে। আর আমি মাস্ক পড়ি কিন্তু আজকেই ভুল করে বাসায় মাস্ক রেখে চলে এসেছি।
চাল সরবরাহকারী কাওসার আলী বলেন, সরকারের বিশেষ বরাদ্দ হিসেবে ওএমএসের মাধ্যমে চাল ও আটা দেওয়া হচ্ছে। ৩০টাকা কেজি দরে চাল ও ১৮টাকা কেজি দরে আটা দেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন বন্ধ ছাড়া ৬দিন এই আটা ও চাল দেওয়া হচ্ছে। যারা চাল ও আটা নিতে আসছে আমরা তাদের সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফাকা ফাকা হয়ে দাড়িয়ে ও মাস্ক পড়তে বলছি কিন্তু তারা কেউ আমদের কথা মানছেনা বা বললেও শুনছেনা। মানুষের প্রচন্ড ভিড় এজন্য কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানতে পারছেনা।
হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর-এ আলম বলেন,মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ থেকে মাস্ক পড়া, স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ বেশকিছু নির্দেশনা জারি করা রয়েছে। সেগুলো প্রতিপালনে সাধারন মানুষজন সচেতন রয়েছে কিনা বা তারা কোন প্রকার অবহেলা প্রদর্শন করছে কিনা সে বিষয়টি দেখতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। যারা এসব মানছেনা তাদের জরিমানা করা হচ্চে। সেই সাথে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করছি ও তাদের মাঝে বিনামুল্যে মাস্ক বিতরন করা হচ্ছে।