একদিনে এক কোটি টিকা প্রদান কর্মসুচীর আওতায় সারাদেশের ন্যায় দিনাজপুরের হিলিতে করোনার গনটিকা কার্যক্রম চলছে।এতদিন নানা ঝামেলার কারনে টিকা দিতে না পারলেও ২৬ শে ফেব্রুয়ারীর পরে আর টিকা পাওয়া যাবেনা এমন খবরে সকলেই টিকা কেন্দ্রে ভিড় করছেন। কিছুটা ভিড় থাকলেও কোন ধরনের ঝামেলা ছাড়াই টিকা দিতে পেরে দারুন খুশি সাধারন মানুষ।
শনিবার সকাল থেকে হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পৌরসভা কার্যালয়, ডাঙ্গাপাড়া ও পালপাড়ায় অস্থায়ী কেন্দ্রে, ৩টি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় কেন্দ্র, ৭টি কমিউনিটি ক্লিনিক কেন্দ্রসহ সর্বমোট ১৪টি কেন্দ্রে একযোগে টিকা প্রদান কর্মসুচী শুরু হয়েছে। বিকেল পর্যন্ত এই টিকা প্রদান কর্মসুচী চলে।
হিলি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী বেলাল হোসেন বলেন, মাদ্রাসায় থাকার কারনে ও বাহিরে না আসা ও অলসতার কারনে টিকা দিতে পারিনি। এর মধ্যে জানতে পেরেছি সারাদেশে ২৬তারিখ করোনার টিকার প্রথমডোজ গ্রহনের শেষ তারিখ যার কারনে আজকে এসেছি টিকা দিতে। আমার মতো অনেক মানুষ আসছে টিকা দিতে সবাই আগ্রহের সহিত সুষ্ঠভাবে সুন্দরভাবে টিকা দিচ্ছে। আর টিকা দিতে পেরে আমরা খুব আনন্দিত আগামীতে আবারো নির্ধারীত সময় মোতাবেক দ্বিতীয় ডোজ টিকা দিতে আসবো।
টিকা দিতে আসা ইমরান হোসেন বলেন, নানা ধরনের কাজকর্ম ও অলসতার কারনে আজ দিবো কাল দিবো করতে করতে আর টিকা দেওয়া হয়নি। তাই আজকে আমি করোনার টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার জন্য আসছি। আজকেই টিকার প্রথম ডোজের নাকি শেষ দিন যার কারনে আমার মতো অনেকেই আসছে সকলেই টিকা দিচ্ছে।
টিকা দিতে আসা জেসমিন আকতার বলেন, এতোদিন সমস্যা থাকার কারনে টিকা দিতে আসতে পারিনি। তো আজকে প্রথম ডোজের শেষ দিন এর উপর টিকা না দিলে কোথাও যাওয়া যেতোনা কোন সেবা পাওয়া যাবেনা সেজন্য আজ সব কাজ কর্ম ফেলে টিকা দিতে এসেছি। আর টিকা দিতে এসে কোন ঝামেলা ছাড়াই টিকা দিতে পেরে খুব ভালো লাগছে।
টিকা দিতে আসা রুবেল ইসলাম বলেন, টিকা দিতে পেরে যেমন ভালো লাগছে তেমনি টিকা যে দিয়েছি তার ডকুমেন্ট পাচ্ছি সেই সাথে বিভিন্ন অফিস আদালতে সেবার জন্য যেতে পারবো। আর যদি টিকা না দিতাম তাহলে তো ডকুমেন্ট ছাড়া বাড়ি থেকে বের হওয়া কোথাও যাওয়া সমস্যা হতো ঝামেলাই পড়তে হতো কিংবা আমার ছেলে মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করতে গেলেও টিকা কার্ড প্রয়োজন হতো তাই আমি যেমন টিকা দিলাম তেমনি সকলকেই টিকা দেওয়া দরকার।
হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.শ্যামল কুমার দাস বলেন, ২৬শে ফেব্রুয়ারী সারাদেশে একদিনে এককোটি মানুষকে করোনার টিকা প্রদান কর্মসুচীর আওতায় হিলিতে ১৪টি কেন্দ্রে করোনার প্রথম ডোজের গনটিকা প্রদান কার্যক্রম চলছে। মানুষের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনা দেখা যাচ্ছে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সসহ অন্যান্য টিকা কেন্দ্রে টিকা নিতে প্রচুর মানুষ টিকা দিতে ভিড় করছে। আমাদের লক্ষ্যমাত্রা হলো উপজেলার ৮০ভাগ মানুষকে এই টিকার আওতায় আনা এর অর্থ ১২বছর পর্যন্ত বয়সি শিশুদের বাদদিলে ১শ ভাগ মানুষকে এর আওতায় আনা। আমাদের যেমন প্রস্তুতি রয়েছে যেভাবে কার্যক্রম চলছে তাতে করে আমরা আশা করছি সফল হবো।