মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর পেরিয়ে যাওয়ায় ও সরবরাহ বাড়ায় দিনাজপুরের হিলিতে সপ্তাহের ব্যবধানে সবধরনের সবজির দাম কমেছে। বেগুন পোটলসহ অধিকাংশ সবজির দাম কমে অর্ধেকের নিচে নেমেছে। সবজির দাম কমায় স্বস্তি ফিরেছে নিন্ম আয়ের খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে।
শুক্রবার সরেজমিন হিলির কাচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে প্রত্যেকটি সবজির দোকানেই পযাপ্ত সবজির সরবরাহ রয়েছে। সেই সাথে ঈদের আগের তুলনায় অধিকাংশ সবজির দাম অর্ধেকে নেমেছে। যে বেগুন ঈদের আগে ৬০টাকা কেজি বিক্রি হয়েছিল বর্তমানে তা কমে ৩০টাকা বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে পোটল পোটল ৪০ টাকা থেকে কমে ৩০টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঢেড়শ ৪০টাকা থেকে কমে ১৫টাকা, করলা ৫০টাকা থেকে ২০/৩০টাকা, কাচামরিচ ৬০/৭০টাকা থেকে কমে ৩৫/৪০টাকা, শশা পুর্বের মতো ১০টাকা ও আলু ১০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
হিলি বাজারে সবজি কিনতে আসা খালেদ হোসেন বলেন, ঈদের পরে বাজার করতে এসে সবজির দাম শুনে তো অবাক হয়ে গেছি। যেখানে প্রতিদিন তেল চাল চিনিসহ অন্যান্য পণ্যের দাম বাড়ছে সেখানে সবধরনের সবজির দাম কমতির দিকে রয়েছে। যে বেগুন ঈদের আগে ৬০টাকা কিনেছি সেই বেগুন এখন ৩০টাকা। এরকম পোটল, করলা, ঢেড়শসহ সবধরনের সবজির দাম কমতির দিকে রয়েছে। দাম কমার কারনে এসব কিনতে যেমন টাকা কম লাগছে তেমনি কিনতেও সুবিধা হচ্ছে। এতে করে আমাদের মতো নিন্ম আয়ের মানুষজনের খানিকটা সুবিধা হয়েছে। দাম যদি এমন কম থাকে তাহলে আমাদের জন্য ভালো হয়।
হিলি বাজারের সবজি বিক্রেতা বিপ্লব হোসেন বলেন, আমরা পাশ্ববর্তী বিরামপুর ও পাচবিবির পাইকাড়ি হাট থেকে সবজি কিনে হিলি বাজারে বিক্রি করে থাকি। ঈদের আগে বিশেষ করে রমজান মাস জুড়েই বেগুনসহ অন্যান্য সবজির বেশী চাহীদা থাকায় দেশের বিভিন্ন স্থানের পাইকাররা এসব হাটে এসে সবজি কিনে ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যেত। যার কারনে হাটে চাহীদার তুলনায় সরবরাহ কমার কারনে দাম বেড়ে গিয়েছিল। বর্তমানে আর ঢাকাসহ অন্যান্য স্থানে এসব সবজি যাচ্ছেনা সেই সাথে হাটে সবজির সরবরাহ আগের তুলনায় বেড়েছে যার কারনে সবধরনের সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। আমরাও বর্তমানে হাট থেকে কমদামে সবজি কিনছি যার কারনে বাজারে কমদামে বিক্রি করতে পারছি।
প্রধান সম্পাদক: হুমায়ুন কবির রনি
মোবাইল: ০১৭১৬-৫৩০৫১৪
ইমেইল: onnews24@gmail.com
www.onnews24.com