হিলিতে দ্বিতীয় দিনের মতো করোনার প্রথম ডোজের গনটিকা কার্যক্রম চলছে

হিলি প্রতিনিধি

মানুষের মাঝে টিকাদিতে বেশ আগ্রহ থাকায় ও কিছু মানুষ এখনো বাদ পড়ায় সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক দিনাজপুরের হিলিতে দ্বিতীয় দিনের মতো করোনার প্রথম ডোজের গনটিকা কার্যক্রম চলছে। গতকাল বিভিন্ন কারনে যারা টিকা দিতে না পারলেও আজ কোনপ্রকার ঝামেলা ছাড়াই টিকা দিতে পারায় দারুন খুশি তারা।

রবিবার সকাল থেকেই উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স টিকাকেন্দ্র খোলার আগে থেকেই সাধারন মানুষজন টিকা নিতে সেখানে ভিড় করতে থাকেন। পরে স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের টিম আসলে সেখানে টিকা দান শুরু হয়। একইভাবে উপজেলার বিভিন্ন ইপিআই কেন্দ্রগুলিতে টিকা প্রদান চলছে।

টিকা দিতে আসা সেলিম রেজা বলেন,গতকাল করোনার টিকা প্রথমডোজ প্রদানের শেষ দিন ছিল কিন্তু আমি গতকাল না থাকার কারনে সেই টিকা নিতে পারিনি। টিকা পাবো কিনা সেই নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম এছাড়া টিকা না দিলে বাহিরে অফিস আদালতে যাওয়ার সমস্যা হতো।এর মধ্যে শুনতে পারলাম আজো টিকা দিবে যার কারনে হাসপাতালে এসেছি টিকা দিতে। কোনপ্রকার ঝামেলা ছাড়াই টিকা দিলাম এতে করে খুব ভালো লাগছে।

টিকা দিতে আসা আয়েশা খাতুন বলেন, আমি ছোট বাচ্চা থাকার কারনে টিকা দিতে পারিনি। কিন্তু গতকাল করোনা টিকার প্রথমডোজের শেষ দিন ছিল তারপরেও আমি পরিবারের ব্যস্ততার কারনে টিকা দিতে পারিনি। আজকে আসলাম হাসপাতালে টিকা দিতে সুষ্ঠভাবে টিকা দিলাম খুব ভালো লাগছে। আমাদের মতো আরো অনেক মানুষ আসছে টিকা দিতে যারা গতকালকে টিকা দিতে পারেনি।

হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.শ্যামল কুমার দাস বলেন, ২৬শে ফেব্রুয়ারী একদিনে এক কোটি মানুষকে করোনার গনটিকা প্রদানের মধ্য দিয়ে প্রথমডোজের টিকা প্রদান কর্মসুচী সম্পুর্ন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গতকালকেও আমরা মানুষের মধ্যে টিকা দানের ব্যাপারে বিপুল উৎসাহ উদ্দিপনা লক্ষ্য করি। এরই প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য অধিপ্তর গনটিকা প্রদান কর্মসুচী আরো দুদিন বর্ধিত করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ দ্বিতীয় দিনের মতো করোনার প্রথম ডোজের গনটিকা কার্যক্রম চলছে যা আগামীকাল পর্যন্ত চলবে।এসময়ে করোনার দ্বিতীয় ও তৃতীয় ডোজের পাশাপাশি প্রথমডোজ প্রদান করা হবে। এতে করে এখনো যারা বাদ পড়েছেন দুদিন বর্ধিত করায় সকলেই টিকার আওতায় আসবেন। গতকাল ৩হাজার ৮৫১জনকে প্রথম ডোজ প্রদান করা হয়েছে। এযাবৎ পর্যন্ত উপজেলায় ৭৯ হাজার ৩০২জনকে প্রথমডোজ দেওয়া হয়েছে যা মোট জনসংখ্যার ৭২.৭ ভাগ, দ্বিতীয়ডোজ দেওয়া হয়েছে ৫৪হাজার ২৪৮জনকে যা মোট জনসংখ্যার ৪৯.৭ভাগ, বুষ্টারডোজ দেওয়া হয়েছে ২হাজার ৯২৭জনকে। আমরা আজকেও খেয়াল করছি কিছু মানুষ যারা প্রথমডোজ দিতে বাদ পড়েছিল তারা টিকা দিতে টিকা কেন্দ্রে আসছে। আমাদের যে লক্ষ্যমাত্রা তার বিপরীতে চাহীদা মোতাবেক টিকার পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে।

আরো দেখুনঃ