দেশের বাজারে চাহীদা কমায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেয়াজের আমদানি কমতে শুরু করেছে। এদিকে পেয়াজের আমদানি কমের সাথে সাথে দাম কমা অব্যাহত রয়েছে।
একদিনের ব্যবধানে হিলি স্থলবন্দরে পাইকাড়িতে কেজি প্রতি আরো ১টাকা করে কমে বর্তমানে ২৫টাকায় নেমেছে। যা গতকালকে ২৬টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। এদিকে পেয়াজের দাম কমায় খুশি বন্দরে পেয়াজ কিনতে আসা পাইকারসহ নিন্ম আয়ের মানুষজন।
হিলি স্থলবন্দরের পেয়াজ ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নতুন পেয়াজ উঠার কারনে বাজারগুলোতে দেশীয় পেয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। সেই সাথে দেশীয় পেয়াজের মান ও স্বাদ ভালো হওয়ায় এবং দাম কম হওয়ার কারনে মানুষ এখন ভারতীয় পেয়াজ না কিনে দেশীয় পেয়াজ ক্রয় করছে।
যার কারনে দেশের বিভিন্ন মোকামে ভারতীয় পেয়াজের যে চাহীদা ছিল তা আগের তুলনায় ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। যার কারনে বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকার ফলে দেশের বাজারে চাহীদার তুলনায় পণ্যটির সরবরাহ বাড়ার কারনেই দাম কমতে শুরু করেছে।
ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে নতুন পেয়াজ উঠতে শুরু করার কারনে সেদেশের বাজারেই পেয়াজের সরবরাহ বাড়ার কারনে দাম কমতে শুরু করেছে। এর ফলে কম দামে আমদানির ফলে দেশের বাজারে পেয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে।সামনের দিনে পেয়াজের দাম আরো কমবে ২০টাকা কেজিতে নামতে পারে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, বন্দর দিয়ে পেয়াজের আমদানি অব্যাহত থাকলেও আমদানির পরিমান আগের তুলনায় অর্ধেকে নেমেছে। মঙ্গলবার বন্দর দিয়ে ১৪টি ট্রাকে ৪১১টন পেয়াজ আমদানি হলেও বুধবার তা কমে মাত্র ৭টি ট্রাকে ১৮৬টন পেয়াজ আমদানি হয়েছে।
আয়েশা আক্তার/অননিউজ24