হিলিতে বৃষ্টির মতো ঝড়ছে কুয়াশা তাপমাত্রা আরো কমায় বিপাকে মানুষ
হিলি প্রতিনিধি।।
দিনাজপুরের হিলিতে বৃষ্টির মতো ঝড়ছে কুয়াশা।তাপমাত্রা আরো কমায় ও হিমেল বাতাসের কারনে তীব্র শীত অনুভুত হচ্ছে। শীতে কাজ না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ আয় কমে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় অটোচালকরা।আক্রান্ত হচ্ছেন শীতজনিত নানা রোগে।
গতকয়েকদিন ধরেই হিলিতে শীত অব্যাহত রয়েছে। সারাদিন আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে থাকছে। সেই সাথে আজ সকাল থেকেই কুয়াশা ঝড়ছে। যার কারনে দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে হচ্ছে।খানিকটা বেলার পর আজ সুর্যের দেখা মিললেও রোদের তেমন উত্তাপ নেই। দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বেশী থাকলেও বিকেলের পর থেকে শীতের মাত্রা বাড়ছে।
পথচারী ইউসুফ হোসেন বলেন, গতকয়েকদিন ধরেই হিলিতে শীত অব্যাহত রয়েছে সেই সাথে আজ সকাল থেকে বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝড়ছে। কুয়াশা ও শীতের কারনে বাড়ি থেকে বের হওয়া মুশকিল হয়ে পড়েছে।গরম কাপড় পড়ে বাড়ির বাহির হলেও প্রচন্ড ঠান্ডা লাগছে এসব কাপড়েও শীত কুলাচ্ছেনা এমন অবস্থা দাড়িয়েছে।ঠান্ডার কারনে জ্বর শর্দি কাশি গলাব্যাথা দেখা দিচ্ছে।
দিনমজুর মেহেদুল ইসলাম বলেন, একেতো তীব্র শীত তার উপর পশ্চিমা বাতাস বইছে এতে করে বাড়ি থেকে বের হওয়া যাচ্ছেনা। ৪/৫টা কাপড় পড়ে বাড়ি থেকে কাজে বের হতে লাগছে। এরপরেও ঠিকমতো কাজ পাওয়া যাচ্ছেনা। শীতের কারনে কোন কাজ ঠিকমতো করতে পারছিনা এমনকি বাজারঘাট করতে পারছিনা।
অটোচালক ইয়াসিন আলী বলেন, গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিপাত হওয়ায় গতকয়েকদিন ধরেই খুব বেশি পরিমানে শীত লাগছে। এর উপর আজ অঝোড়ে কুয়াশা পড়ছে। অতিরিক্ত শীতের কারনে গাড়ি চালা যাচ্ছেনা আবার কুয়াশার কারনে ঠিকমতো দেখাও যাচ্ছেনা। এছাড়া শীতের কারনে মানুষজন তেমন একটা বাহির না হওয়ায় তেমন একটা যাত্রী পাওয়া যাচ্ছেনা। সকাল থেকে অটো নিয়ে স্টান্ডে বসে আছি কোন যাত্রী না পাওয়ায় টিপ হচ্ছেনা। এতে করে আমরা তো দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়ে গেছি কিভাবে অটোর কিস্তি পরিশোধ করবো আর পরিবার পরিজন নিয়ে নিজে চলবো কিভাবে।
দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আজ দিনাজপুর অঞ্চলে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮দশমিক ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ৯১শতাংশ, বাতাসের গতিবেগ ঘন্টায় ৪/৫ কিলোমিটার, বেলা বাড়ার সাথে সাথে এটি উত্তর বা উত্তর পশ্চিম দিক থেকে ৮/১২ কিলোমিটার গতিতে ধাবিত হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে তবে আগামী ২/১দিনের মধ্যে রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে সামান্য বাড়তে পারে। কিছু কিছু এলাকার উপর থেকে শৈত্যপ্রবাহটি প্রশমিত হতে পারে।