হিলিতে ভেন্ডির কেজি ৫টাকা কাচামরিচের দাম কমেছে কেজিতে ৩০টাকা

হিলি প্রতিনিধি

সরবরাহ বাড়ায় মাত্র একদিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে ঢেড়শ (ভেন্ডি) এর দাম কেজিতে কমেছে ১৫টাকা করে। একদিন আগেও ২০টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে মাত্র ৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে কাচামরিচের দাম কেজিতে ৩০টাকা কমে ৪০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে যা আগে ৭০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল। একইভাবে অন্যান্য সবজির দাম কমতিরে দিকে রয়েছে। এদিকে দাম কমায় স্বস্তি ফিরেছে নিন্ম আয়ের মানুষের মাঝে।

শুক্রবার হিলির কাচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে সব সবজির দোকানেই সবজির ভালো সররবাহ রয়েছে সেই সাথে দাম কমতির দিকে রয়েছে। একদিন আগেও পোটল ৩০টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ১৫টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে করলা ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ৩০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, বরবটি ৩০টাকা কেজি বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ১৫ থেকে ২০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বেগুন আগের মতোই ৩০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, মুলা ২০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ফুলকুপি কেজিতে ২০টাকা কমে বর্তমানে ৮০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে এছাড়া বাধাকপি ৩০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।তবে কিছুটা বেড়েছে আলুর দাম কেজিতে ৪টাকা বেড়ে বর্তমানে ১৪টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া শশার দাম বেড়েছে পুর্বে ১৫/২০টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা ৩৫ থেকে ৪০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

হিলি বাজারে সবজি কিনতে আসা বাবুল হোসেন, বাজারে চাল ডাল তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম আগুন হয়ে উঠছে। দিন দিন এসব জিনিসের দাম বেড়েই চলছে এতে করে সাধারন মানুষের চলাফেরা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। এর মাঝে কিছুটা স্বস্তির খবর হলো বেশ কিছু সবজির দাম নিন্মমুখি হতে শুরু করেছে। এতে করে আমাদের মতো নিন্ম আয়ের মানুষদের জন্য সুবিধা হয়েছে। আগে দাম বৃদ্ধির কারনে কম কিনতাম এখন সেখানে আমরা আমাদের প্রয়োজন মত সবজি কিনতে পারছি।

অপর ক্রেতা রেবেকা সুলতানা বলেন, বাজারে সবজিনিসের দাম যখন উদ্ধমুখি তখন কাচামরিচ, ঢেড়শ, পোটল, করলাসহ বেশ কিছু সবজির দাম অনেকটা কমে গিয়েছে। এতে করে আমাদের মতো দিনআনা দিনখাটা মানুষদের জন্য সুবিধা হয়েছে আমরা অন্তত এসব সবজি কিনে ভর্তা ভাত হলেও খেতে পারছি। মাঝে যে সবজির দাম বৃদ্ধি ছিল তাতে করে আমাদের চলাফেরা করাই মুশকিল হয়ে পড়েছিল। আমাদের দাবী দাম যেন এমনই থাকে তাহলে আমরা খেয়ে পড়ে চলতে পারবো।

হিলি বাজারের সবজি বিক্রেতা বিপ্লব শেখ বলেন, মাঝে হঠাৎ করে ঝড় ও বৃষ্টি এছাড়া অতিরিক্ত গরমের কারনে ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় বিশেষ করে কাচামরিচসহ অন্যান্য সবজির দাম উদ্ধমুখি হয়েছিল। বর্তমানে আগের তুলনায় সরবরাহ বাড়ায় বাজারে দুএকটি সবজি ছাড়া প্রায় সবধরনের সবজির দাম কমেছে কোনটির দাম অর্ধেকের বেশি কমেছে। দাম কমার কারনে ক্রেতারা তাদের চাহীদামত সবজি ক্রয় করছেন মাঝে দাম বাড়ার কারনে তারা যেমন ক্রয়ের পরিমান কমিয়ে দিয়েছিলেন বা দাম নিয়ে ক্রেতাদের সাথে বাকবিতন্ডা হচ্ছিল সেটি আর হচ্ছেনা। আর পুর্বের তুলনায় বেচাকেনা ভালো হচ্ছে।

হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর-এ আলম বলেন, বাজারে অহেতুক কেউ যেন কোন পণ্যের দাম বৃদ্ধি করতে না পারে সেজন্য আমরা নিয়মিতভাবে বাজার মনিটরিং অব্যাহত রেখেছি। প্রয়োজনে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চালানো হচ্ছে। এধরনের কোন অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরো দেখুনঃ