দেশের সবচেয়ে উত্তরের জেলা দিনাজপুরের হিলিতে গত কয়েকদিন ধরেই শীত অব্যাহত রয়েছে। সাথে বৃষ্টির মতো ঝড়ছে কুয়াশা ও হিমেল বাতাসের কারনে শীতের মাত্রা আরো বেড়েছে। এতে করে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষের জনজীবন বেশী বিপাকে পড়ছেন শ্রমজীবি মানুষজন।দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে সড়কে চলাচল করছে যানবাহন।
পাচদিন ধরেই হিলিতে শীতের এমন অবস্থা বিরাজ করছে।সকাল থেকে শুরু করে অনেক বেলা পর্যন্ত দেখা মিলছেনা সুর্যের। গতকয়েকদিন ধরে নিয়মিত ১১টা থেকে ১২টার পর সুর্যের দেখা মিলছে। আবার বিকেলের পর থেকে শীতের পারদ নেমে আসছে।
ভ্যান চালক খালেদ হোসেন বলেন, গতকয়েকদিন ধরে যেমন শীত পড়েছে তেমনি ঝড়ছে কুয়াশা এতে করে কুয়াশার কারনে সামনে কিছু দেখা যাচ্ছেনা আবার শীতের কারনে ভ্যান চালানো মুশকিল হয়ে পড়েছে। তারপরেও সংসার চালাতে হবে তাই বাধ্য হয়ে ভ্যান নিয়ে বেড়োতে হচ্ছে কষ্ট করে হলেও চালাতে হচ্ছে। আর শীত ও কুয়াশার কারনে মানুষজন তেমন বাড়ি থেকে বের হচ্ছেনা যার কারনে যাত্রী ঠিকমতো পাওয়া যাচ্ছেনা। এতে করে আমাদের আয় রোজগার কমে গিয়েছে সবমিলিয়ে খুব সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে।
দিনমজুর রবিউল ইসলাম বলেন, আমরা মানুষের বাড়িতে বা মাঠে কামলা দিয়ে খায়। কিন্তু গতকয়েকদিন ধরে খুব ঠান্ডা পড়েছে সেই সাথে বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ছে যার কারনে কাজে বাড়ানো যাচ্ছেনা। আবার কষ্ট করে বের হলেও কাজ হচ্ছেনা এই শীতের কারনে।
চামড়া ব্যবসায়ী রহমত আলী বলেন, গতকয়েকদিন ধরে হিলিতে অতিরিক্ত কুয়াশা ও ঠান্ডা পড়েছে এত পরিমান ঠান্ডা আমাদের শরীরে সহ্য হচ্ছেনা। এত পরিমান কুয়াশা যে রাস্তায় চলাচল করতেও সমস্যা হচ্ছে এর উপর ঠান্ডার কারনে জ্বর শর্দী কাশি তো লেগেই আছে।আমরা বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে কশাইদের নিকট থেকে চামড়া সংগ্রহ করি কিন্তু এই ঠান্ডা ও কুয়াশার কারনে বাহিরে বের হওয়া যাচ্ছেনা যার কারনে আমাদের ব্যবসা করতেও সমস্যা হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর দিনাজপুরের ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, বায়ুমন্ডলের উপরিভাগে জলীয় বাষ্পের পরিমান বেড়ে যাওয়ার কারনে কুয়াশার পরিমানটা বেশী হচ্ছে যার কারনে সুর্যের আলো স্বাভাবিকের তুলনায় ২/৩ঘন্টা পরে পাওয়া যাচ্ছে। আজ সকালে দিনাজপুর অঞ্চলে রেকর্ড করা হয়েছে ১৫দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। গত ৪/৫দিন ধরেই দিনাজপুর অঞ্চলে তাপমাত্রা ১৫দশমিক ১ডিগ্রী সেলসিয়াস থেকে ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে উঠানামা করছে। তবে কুয়াশার পরিমান ধীরে ধীরে কমবে তবে শীতের মাত্রা ধীরে ধীরে আরো বাড়বে।
আহসানুজ্জামান সোহেল/অননিউজ24।।