দিনাজপুরের হিলিতে গতকালের চেয়ে তাপমাত্রা একটু বাড়লেও শীত অব্যাহত রয়েছে। সাথে ঘনকুয়াশা ও হিমেল বাতাস অব্যাহত থাকায় কনকনে শীত অনুভুত হচ্ছে। তীব্র শীতের কারনে স্থবির হয়ে পড়েছে সাধারন মানুষের জনজীবন। শীতের কারনে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া দিনমজুর শ্রমজীবি মানুষজন। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত থেকে বাচার চেষ্টা করছেন।
অন্যান্য দিন সকাল সকাল রোদ উঠার কারনে দিনের তাপমাত্রা একটু বেশী থাকে। তবে আজ সকাল থেকেই আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে রয়েছে। আজ এখন পর্যন্ত রোদ না উঠায় বাড়তি শীত অনুভুত হচ্ছে। শীতের কারনে প্রয়োজন ছাড়া মানুষজন তেমন একটা ঘর থেকে বাহির হচ্ছেনা এতে করে সড়ক ও হাট বাজারে মানুষের উপস্থিতি কমে গেছে। দিনের বেলাতেও সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহনগুলোকে চলাচল করতে হচ্ছে।
হিলি বাজারের পোশাক শ্রমিক সুজন হোসেন বলেন, আমাদের সকাল ৯টার মধ্যে বাজারে এসে দোকান খুলতে হয়। কিন্তু গতকয়েকদিন থেকে তীব্র শীতের কারনে সাইকেল চালিয়ে আসতে আমাদের খুব কষ্ট হচ্ছে, হাতপা শিটকা লেগে যাচ্ছে। এছাড়াও শীতের কারনে আসতে নাক দিয়ে পানি পড়ছে, জ্বর শর্দি কাশি ধরছে যার কারনে দোকানে আসতে আমাদের দেরী হয়ে যাচ্ছে যার কারনে দোকান খুলতে দেরী হচ্ছে।
হোটেল শ্রমিক খোয়াইব হোসেন বলেন, আমরা হোটেলে শ্রমিক হিসেবে কাজ করি। কিন্তু গতকয়েকদিন ধরে এমন শীত পড়েছে যে আমাদের কাজ করা কষ্ট কর হয়ে পড়েছে। আমাদের পানির কাজ করতে হয় শীতের কারনে পানির কাজ করতে খুব কষ্ট হয়। একেতো শীত এর মধ্যে পানির কাজ করায় আমাদের নানা অসুখ বিসুখ ধরছে।
রিক্সাচালক ইয়াসিন মোল্লা বলেন,একেতো শীতের কারনে রিক্সা চালানো কষ্ট কর হয়ে পড়েছে। এর উপর পেটের তাগিদে বের হয়ে যাত্রী না পাওয়ায় আরো বিপাকে পড়তে হচ্ছে। শীতের কারনে মানুষজন বাড়ি থেকে তেমন একটা বাহির হচ্ছেনা যার কারনে আমাদের যাত্রী কমে গেছে। আগে যেখানে ৪/৫শ টাকা আয় হতো এখন সেখানে ১ থেকে দেড়শো টাকা আয় করা অসম্ভব ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর দিনাজপুর এর ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, গতকালের চেয়ে আজ দিনাজপুর অঞ্চলে তাপমাত্রা একটু বেড়েছে। আজ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০দশমিক ৭ডিগ্রী সেলসিয়াস।বাতাসের আদ্রতা ৯৬শতাংশ, বাতাসের গতিবেগ ঘন্টায় ৪/৫কিলোমিটার, বেলা বাড়ার সাথে সাথে এটি উত্তর বা উত্তর পশ্চিম দিক থেকে ঘন্টায় ৮/১০কিলোমিটার গতিতে ধাবিত হতে পারে।