কয়েকদিন তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও দেশের সবচেয়ে উত্তরের জেলা দিনাজপুরের হিলিতে আবারো তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। এতে করে গতদুদিন ধরে শীত পুরোপুরি জেকে বসেছে।তীব্র শীতের কারনে কাজে যেতে না পেরে ও কাজ না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষজন। জীবিকার তাগিদে বের হলেও আক্রান্ত হচ্ছেন শীতজনিত নানা রোগে।
গতদুদিন ধরেই হিলিতে সকাল করে কুয়াশা ঝড়ছে সাথে হিমেল বাতাস বওয়ায় শীতের মাত্রাকে আরো বাড়িয়ে তীব্র করে তুলছে। সকাল থেকে শুরু করে অনেক বেলা পর্যন্ত দেখা পর্যন্ত দেখা মিলছেনা সুর্যের এতে করে কনকনে শীত অনুভত হচ্ছে। দুপুরের দিকে সুর্যের দেখা মিললে দিনের তাপমাত্রা একটু বেশী থাকলেও বিকেলের পর থেকে শীতের পারদ নেমে আসছে। সন্ধ্যার পর থেকে বাজার ফাকা হয়ে যাচ্ছে মানুষজন তেমন একটা বাহির হচ্ছেনা। দিনের বেলাতেও সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহনগুলো চলছে সেই সাথে চলছে ট্রেন।
সকালে হাটতে বের হওয়া মনোয়ার হোসেন বলেন, গতকয়েকদিনের শীতের তুলনায় গতদুদিন ধরে শীতের মাত্রা বেশী শীতের প্রভাবটা খুব বেশী বোঝা যাচ্ছে।পশ্চিমা বাতাস বইছে, যার কারনে যতই শীতের পোশাক পড়ছি কিন্তু তাতেও কোন কাজ করছেনা। মনে হচ্ছে সববাতাস শরীরের মধ্যে ঢুকছে কানে নাকে হাতে বেশী শীত অনুভুত হচ্ছে।
কাজের সন্ধানে বের হওয়া দিনমজুর মোজাফফর রহমান বলেন, আমরা তো দিন আনা দিনখাটা মানুষ শীতের কারনে আমরা কাজকর্ম করতে পারছিনা এত পরিমান শীত আর বাতাস যে বাড়ি থেকে বের হতে পারছিনা। আর শীতের কারনে হাতপা ঠান্ডা হয়ে বরফের মতো হয়ে যাচ্ছে যার কারনে ঠিকমতো কাজ করা যাচ্ছেনা এতে করে খুব সমস্যার মধ্যে পড়ে গেছি। তারপরেও না খাটলে তো আমাদের পেটে ভাত হবেনা বাধ্য হয়ে কষ্ট করে বের হয়েছি কিন্তু শীতের কারনে কাজ না পেয়ে বাড়ি ফিরে যেতে হচ্ছে যার কারনে আমাদের মতো মানুষদের খুব কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে।
পথচারী ইয়াসিন মোল্লা বলেন, গতদুদিন ধরে হিলিতে প্রচন্ড পরিমানে শীত পড়েছে যার কারনে মানুষজনের বাড়ির বাহিরে চলাফেরা খুব সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে বিশেষ করে সকালে বাড়ি থেকে বের হওয়া বেশী সমস্যা। সেই সাথে কুয়াশা ঝড়ছে সাথে প্রচন্ড পরিমানে বাতাস বইছে যার কারনে খুব পরিমান ঠান্ডা লাগছে।
দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদপ্তর এর ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আজ দিনাজপুর অঞ্চলে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০দশমিক ৬ডিগ্রী সেলসিয়াস যা দেশের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বনিন্ম তাপমাত্রা। বাতাসের আদ্রতা ৯৫শতাংশ, বাতাসের গতিবেগ ঘন্টায় ৫/৭ কিলোমিটার। যা বেলা বৃদ্ধির সাথে সাথে ১০/১৪ কিলোমিটার পর্যন্ত উন্নীত হতে পারে।