দেশের সবচেয়ে উত্তরের জেলা দিনাজপুরের হিলিতে একসপ্তাহের বেশী সময় ধরে শীত অব্যাহত রয়েছে।সাথে কুয়াশা ও হিমেল বাতাস শীতের মাত্রাকে আরো বাড়িয়ে তুলছে। শীতের কারনে খেটে খাওয়া মানুষেরা যেমন বিপাকে পড়েছেন তেমনি বিপাকে পড়েছেন সকালে প্রাইভেট পড়তে যাওয়া স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা।তেমনি সকালে হাটতে বের হওয়া মানুষজন বিপাকে পড়েছেন আক্রান্ত হচ্ছেন শীতজনিত নানা রোগে।
সকালের দিকে কুয়াশা থাকায় দিনের বেলাতেও সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহনগুলোকে চলাচল করতে হচ্ছে। তবে কিছুটা বেলা হলে কুয়াশার মাত্রা কমে যাচ্ছে। সাথে গতদুদিন ধরে হিমেল বাতাস বওয়ার কারনে তীব্র শীত অনুভুত হচ্ছে। খানিকটা বেলার পর রোদ উঠায় দিনে তাপমাত্রা বাড়লেও বিকেলের পর থেকে শুরু করে সকাল পর্যন্ত তীব্র শীত অনুভুত হচ্ছে। এদিকে আগে রাত ১০টা পর্যন্ত বাজারে মানুষের সমাগম থাকলেও শীতের কারনে সন্ধ্যার পর বাজার ফাকা হয়ে যাচ্ছে।
শিক্ষার্থী ইউসুফ হোসেন বলেন, গতকয়েকদিন ধরে তীব্র শীত অনুভুত হচ্ছে যার কারনে সকালে আমাদের সাইকেল চালিয়ে প্রাইভেট পড়তে যেতে খুব কষ্ট হচ্ছে। সকালে যে অন্য কিছুতে করে প্রাইভেটে আসবো ভ্যান না পাওয়ার কারনে সেটিও সম্ভব হয়না।
সকালে হাটতে বের হওয়া মমতাজ বেগম বলেন,আমি ডায়াবেটিকসসহ নানা রোগে ভুগছি, চিকিৎসক আমাকে হাটতে বলেছে তাই সকালে হাটতে বের হয়েছি। কিন্তু গতকয়েকদিন ধরে যে পরিমান শীত পড়েছে তাতে করে সকালে হাটতে খুব কষ্ট হচ্ছে। ঠান্ডার কারনে গা হাতপাসহ কোমর ব্যাথা করছে সেই সাথে জ্বর শর্দী লাগছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর দিনাজপুর এর ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আজ দিনাজপুরে সর্বনিন্ম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ডিগ্রী সেলসিয়াস। বাতাসে আদ্রতার পরিমান ছিল ৮৪শতাংশ। বাতাসের গতিবেগ ঘন্টায় ছিল ৪/৬কিলোমিটার যা বেলা বাড়ার সাথে সাথে ঘন্টায় ১০/১৫কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। সামনের দিনে এই অঞ্চলে তাপমাত্রা আরো কমতে পারে যাতে শীতের মাত্রা আরো বাড়বে।
আহসানুজ্জামান সোহেল/অননিউজ24।।