সরবরাহ বাড়ায় মাত্র একদিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে দেশীয় কাচামরিচের দাম কমেছে কেজিতে ১৫টাকা করে। একদিন আগেও প্রতিকেজি কাচামরিচ পাইকারীতে ১শ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে বিক্রি হচ্ছে ৮৫টাকা কেজি দরে।
একইভাবে খুচরাতে কমেছে কেজিতে ২০টাকা করে একদিন আগে ১শ ২০টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা ১শ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে বন্দর দিয়ে আমদানিকৃত কাচামরিচ গত একসপ্তাহ ধরে ৬৫থেকে ৭০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।এদিকে দাম কমায় স্বস্তি ফিরেছে নিন্ম আয়ের মানুষজনের মাঝে।
হিলি বাজারে কাচামরিচ কিনতে আসা মেহেদুল ইসলাম বলেন, দিন গেলেই সবজিনিসের দাম বাড়ছে কমার কোন নাম নেই, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্যের উদ্ধমুখির কারনে আমাদের মতো সাধারন মানুষরা বেশী সমস্যায় পড়েছেন। যে কাচামরিচ কয়েকদিন আগে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি কিনলাম।
সেই কাচামরিচ গতকালকে ১শ ২০টাকা কেজি কিনতে হলো। যাই হোক আজ অবশ্য কাচামরিচের দাম কিছুটা কমেছে এখন ১শ টাকা কেজি এতে করে একটু সুবিধা হয়েছে তবে দাম পুর্বের মতো অবস্থায় আসলে আমাদের মতো মানুষদের জন্য সুবিধা হতো।
হিলি বাজারের কাচামরিচ বিক্রেতা বিপ্লব হোসেন বলেন, আমাদের এই অঞ্চলের মানুষের কাচামরিচের চাহীদা মেটানো হয় সাধারনত নওগা ও বগুড়া অঞ্চলে উৎপাদিত কাচামরিচ দিয়ে। সরবরাহ ভালো থাকায় গতকয়েকদিন ধরে কাচামরিচের দাম কম ছিল। তবে চলমান পরিবহন ধর্মঘটের কারনে আগের তুলনায় কাচামরিচের সরবরাহ কম হওয়ার কারনে দাম বাড়তির দিকে ছিল।
তবে আজ অবশ্য মোকামে কাচামরিচের সরবরাহ ভালো হওয়ায় দাম কমতির দিকে রয়েছে। যার কারনে আমরা কম দামে কিনতে পারছি তেমনি কমদামে বিক্রি করছি। একইসাথে ভারত থেকেও কাচামরিচের আমদানি অব্যাহত থাকায় দাম কমতির দিকে রয়েছে।
হিলি স্থলবন্দরের কাচামরিচের আমদানিকারক আনোয়ার হোসেন বলেন, দেশের বাজারে কাচামরিচের চাহীদা মেটাতে ও দাম নাগালের মধ্যে রাখতে কাচামরিচ আমদানি করা হচ্ছে। ভারতের বাজারেও পুর্বের তুলনায় সরবরাহ বাড়ার কারনে ও দাম কিছুটা কমায় কম দামে আমদানির ফলে দেশের বাজারে কম দামে কাচামরিচ বিক্রি করা হচ্ছে। গতএকসপ্তাহ ধরে একইদামে কাচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬৫থেকে ৭০টাকা কেজি দরে।
আয়েশা আক্তার/অননিউজ24