দিনাজপুরের হিলিতে ভুমি উন্নয়ন কর অটোমেশন পদ্ধতি চালু করনের প্রক্রিয়ার কাজ চলমান থাকায় সাময়িকভাবে খাজনা আদায় বন্ধ রেখেছেন কতৃপক্ষ।এদিকে ভুমি মালিকরা খাজনা দিতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন। সোমবার দুপুরে সরেজমিন হাকিমপুর পৌর ভূমি অফিসে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে কর্মরত সকলেই ভুমি উন্নয়ন কর অটোমেশন পদ্ধতি চালু করনের কাজ নিয়ে ব্যাস্ত রয়েছেন। গত ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ভুমি উন্নয়ন কর অটোমেশন প্রক্রিয়ার কাজ চলমান থাকায় সাময়িকভাবে এই খাজনা আদায় বন্ধ রয়েছে বলে তারা জানিয়েছেন।
বাংলাহিলি পৌর ভুমি অফিসে খাজনা দিতে যাওয়া রবিউল ইসলাম ও মেহেদি হাসান বলেন, আজ ভুমি অফিসে জমির খাজনা দিতে গিয়েছিলাম কিন্তু সেখানে তারা খাজনা গ্রহন করলেননা। খাজনা আদায়ের রশিদ বই নাকি তাদের কাছে নেয় সে কথা বলে তারা ঘুরিয়ে দিলেন।
হাকিমপুর পৌর ভুমি অফিসের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আজিজুল হক বলেন, ভুমি উন্নয়ন কর অটোমেশন পদ্ধতি চালু করনের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সংরক্ষনের কাজ চলছে। এটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত খাজনা আদায় কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। কাজ না শেষ হওয়ায় দাখিলাবই নতুন করে আমাদের নিকট সরবরাহ করা হয়নি যার কারনে আমরা কোন খাজনা নিতে পারছিনা। আমরা অচিরেই এই প্রক্রিয়া সম্পুর্ন করার চেষ্টা করছি,কাজ শেষ হলে দাখিলাবই হাতে পেলে নতুন করে আবারো ভূমি মালিকদের নিকট থেকে খাজনা নেওয়া শুরু হবে।
হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর-এ আলম বলেন, ভূমি উন্নয়ন কর অটোমেশন পদ্ধতি চালু হবে সে কারনে অনলাইনে হোল্ডিংয়ের ডাটা এন্ট্রি কার্যক্রম চলছে যার কারনে খাজনা আদায় ১৫দিনের জন্য সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে। অনলাইন সিস্টেম হয়ে গেলে সবাই মোবাইলে ম্যাসেজ পাবে তথন অনলাইনের মাধ্যমে খাজনা আদায়ের বিষয়টি চালু করতে যাবে। এজন্য সাময়কিভাবে ১০/১৫দিন একটু কষ্ট হবে। তবে যদি কারো জমি রেজিষ্ট্রি থাকে জরুরি বিষয় থাকে তাহলে আমরা খাজনা নিচ্ছি। আর যারা বাৎসরিক খাজনা দিবে তাদেরকে বলা আছে যে ১০/১৫দিন পরে অনলাইন প্রক্রিয়া চালু করতে পারবো তখন তারা নিয়মিত খাজনা দিতে পারবে।
আহসানুজ্জামান সোহেল/অননিউজ24।।