দিনাজপুরের হিলিতে হঠাৎ করেই জেকে বসেছে শীত। সাথে কুয়াশা ও হিমেল বাতাস শীতের মাত্রাকে আরো বাড়িয়ে তোলায় কনকনে শীত অনুভুত হচ্ছে। শীতের কারনে কাজে বের না হতে পেরে বিপাকে পড়েছেন নিন্ম আয়ের মানুষজন। আক্রান্ত হচ্ছেন জ্বর শর্দীসহ শীতজনিত নানা রোগে, বেশী আক্রান্ত হচ্ছেন বয়স্ক ও শিশুরা।
সকালের দিকে কুয়াশা ঝড়ছে কিছুটা বেলা হবার পর রোদের দেখা মেলায় শীতের মাত্রা কিছুটা কমলেও বিকেলের পর থেকে শীত অনুভুত হচ্ছে। সন্ধ্যা থেকে শুরু করে সকাল পর্যন্ত বাড়তি শীত অনুভত হচ্ছে। এদিকে শীতের কারনে সড়কে মানুষের চলাচল অনেকটা কমে গেছে।
পঞ্চাশোর্ধ আনোয়ার হোসেন বলেন, গতকয়েকদিন ধরে বেশ ভালো ঠান্ডা পড়েছে এতে করে আমাদের মতো বয়স্ক মানুষদের বেশ সমস্যা হচ্ছে। বিশেষ করে ফজরের নামাজ পড়ার সময় বের হলে খুব ঠান্ডা লাগে পানি নাড়া যায়না কনকনে ঠান্ডা লাগে ঘরের দরজা জানালা লেগে নামাজ পড়তে হয়। সেই সাথে ঠান্ডার জন্য শর্দি কাশি লেগে গেছে।
দিনমজুর ইসমাইল হোসেন বলেন, গতকয়েকদিন ধরেই হিলিতে খুব ঠান্ডা পড়েছে। আমরা তো কাজের মানুষ কাজ করে খেতে হয় কাজ না করলে খাবো কিভাবে তাই কাজে যাচ্ছি কিন্তু শীতের কারনে খুব কষ্ট হচ্ছে আমাদের।
পথচারী সিদ্দিক হোসেন বলেন, গতকয়েকদিন ধরে যে ঠান্ডা পড়েছে যার কারনে আমরা বাসা থেকে বের হতে পারছিনা।আমরা তো গরীব মানুষ খুব কষ্ট হচ্ছে আমাদের। কিন্তু কি করবো বের না হয়ে কোন উপায় বের না হলে খাবো কি। তাই বাধ্য হয়ে কষ্ট হলেও বের হতে হচ্ছে আমাদের।
দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আজ দিনাজপুর অঞ্চলে সর্বনিন্ম তাপমাত্রা ছিল ১২.৫ডিগ্রী সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯০শতাংশ, বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ৩/৪কিলোমিটার। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে এটি ঘন্টায় ১২/১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। আগামীতে তাপমাত্রা আরো কমতে পারে।
আয়েশা আক্তার/অননিউজ24