আমদানি কমের অজুহাতে ও ঘুনিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে মায়ানমার থেকে পেয়াজ আমদানি বন্ধের কারনে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে আবারো দুদিনের ব্যবধানে পাইকারিতে পেয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫টাকা করে। দুদিন আগেও বন্দরে প্রতিকেজি ইন্দোর জাতের পেয়াজ ২৭/২৮টাকা বিক্রি হলেও বর্তমানে তা বেড়ে ৩২/৩৩টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
পেয়াজের এমন দাম বাড়াকে ব্যবসায়ীদের কারসাজি উল্লেখ করে দাম বাড়ার কারনে বিপাকে পড়তে হচ্ছে বন্দরে পেয়াজ কিনতে আসা পাইকারদের, তেমনি বিপাকে পড়েছেন নিন্ম আয়ের মানুষজন।
হিলি স্থলবন্দরে পেয়াজ কিনতে আসা ইয়াসিন আলী বলেন, পেয়াজের বাজার আবার উদ্ধমুখি হতে শুরু করেছে। গতবৃহস্পতিবার বন্দর থেকে পেয়াজ ক্রয় করলাম ২৭/২৮টাকা মোকামে সেই পেয়াজ বিক্রি করে শনিবার বন্দরে পেয়াজ কিনতে এসে দাম শুনে তো আমরা হতবাক হয়ে গেছি। আবারো পেয়াজের দাম ৫টাকা করে বেড়ে ৩২/৩৩টাকায় দাম উঠেছে।
বন্দর দিয়ে পেয়াজের আমদানি তো বেড়েছে এদিন ২৮ট্রাক পেয়াজ ঢুকেছে তারপরেও দাম বাড়তি এটি ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে দাম বাড়াচ্ছেন বলে দাবী করেন তিনি। পেয়াজের এমন দাম বাড়ার কারনে আমরা পেয়াজ কিনতে এখন ভয় পাচ্ছি প্রতিদিনই পেয়াজের বাজার বাড়ছে আমরা কি দামে কিনবো আর কিদামে বিক্রি করবো সেই ভয়ে রয়েছি। দাম বাড়তির কারনে মোকামে সেভাবে পেয়াজের চাহীদা নেই তারা নিতে চাচ্ছেনা।
হিলি স্থলবন্দরের পেয়াজ ব্যবসায়ী স্বপন মুন্সি বলেন, বাড়তি দামে পেয়াজ আমদানি করে দেশের বাজারে কম দামে বিক্রি করার কারনে লোকশান হওয়ায় গতসপ্তাহ থেকে পেয়াজের আমদানি কমিয়েছেন বন্দরের আমদানি কারকরা। এছাড়া সম্প্রতি ভারতে বৃষ্টিপাত হওয়ার কারনে নতুন পেয়াজগুলো পর্যাপ্ত পরিমানে না উঠার কারনে ভারতের বাজারেই পেয়াজের সরবরাহ কমেছে।
যার কারনে পুরানো পেয়াজের দাম কিছুটা বাড়িয়ে দিয়েছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। অপরদিকে মায়ানমার থেকে নৌপথে যে পেয়াজ আমদানি হতো তা ঘুনিঝড় জাওয়াদের প্রভাবের কারনে সেখান থেকে পেয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। এতে করে দেশের বাজারে শুধুমাত্র ভারতীয় পেয়াজের সরবরাহ রয়েছে। যার কারনে দেশের বাজারে চাহীদার তুলনায় পেয়াজের সরবরাহ কমার কারনে দাম বাড়তির দিকে রয়েছে।
এছাড়া দেশীয় পেয়াজের দাম আগের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে আগে যে দেশীয় পেয়াজ মোকামগুলোতে ১হাজার ৮শ টাকা ছিল তা বেড়ে এখন ২হাজার টাকায় উঠেছে। যার কারনে বাজারে আমদানিকৃত পেয়াজের চাহীদা বাড়ায় দাম বাড়তির দিকে রয়েছে। তবে আগামী দুএকদিনের মধ্যেই ঘুর্নিঝড়ের প্রভাব কেটে গেলে মায়ানমার থেকে পেয়াজ আমদানি শুরু হলে দাম কমে আসবে বলেও জানান তিনি।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, বন্দর দিয়ে গতসপ্তাহে ১০ থেকে ১৫ট্রাক করে পেয়াজ আমদানি হলেও শুক্রবার আমদানি রফতানি বন্ধের পর শনিবার বন্দর দিয়ে ২৮টি ট্রাকে ৭৯৮টন পেয়াজ আমদানি হয়েছে। পেয়াজ যেহেতু কাচা ও দ্রত পচনশীল জাতীয় পণ্য তাই কাস্টমস ও বন্দরের কার্যক্রম শেষে ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রুত যেন পেয়াজ ছাড়করন নিতে পারে এজন্য বন্দর কতৃপক্ষ সবধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করে রেখেছে।
আয়েশা আক্তার/অননিউজ24