দিনাজপুরের হিলির পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অনন্ত কুমার চক্রবর্তী ওরফে নেপাল বাবুর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি রাজস্বসহ শ্রমিকদের মঞ্জুরীর অর্থ আত্নসাৎপুর্বক গেত আয় বহির্ভুত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের একটি দল।
দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের দিনাজপুর সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক আহসানুল কবির পলাশের নেতৃত্বে একটি তদন্ত দল সোমবার দুপুর ২টায় হিলি স্থলবন্দরে আসেন। এসময় তার সহিত দুদকের অপর উপপরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন ও উপসহকারি পরিচালক জিন্নাতুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। প্রথমেই তারা বন্দরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অনন্ত কুমারের সহিত তার কার্যালয়ে বৈঠক করেন। পরে তারা বন্দরের শ্রমিক নেতৃবৃন্দ, আমদানি, রফতানিকারক ও সিআ্যন্ডএফ এজেন্টগনের সাথে আলোচনা করেন। এর পরে তারা বন্দরের অভ্যন্তরে আমদানিকৃত পণ্য লোড আনলোড কার্যক্রমে নিয়োজিত শ্রমিকদের সহিত কথা বলেন ও টন প্রতি কতটাকা বিল পান এবং দিন শেষে কতটাকা মজুরি পান সেসম্পর্কে তাদের নিকট জানতে চান। সেই সাথে আমদানিকৃত পাথর লোড আনলোডের কাজে ব্যবহৃত ভেপু চালকের সহিত এর বিল সম্পর্কে জানতে চান তারা। পরে বিকেল সোয়া ৪টায় তদন্ত দলটি দিনাজপুর কার্যালয়ের উদ্দেশ্যে হিলি স্থলবন্দর এলাকা ত্যাগ করেন।
এসময় দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের জানান, পানামা হিলি পোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অনন্ত কুমার চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে আমরা আজকে সরেজমিন হিলি স্থলবন্দরে তদন্তে এসেছি। আমরা এই তদন্ত রিপোর্ট উর্দ্ধতন কতৃপক্ষকে দিবো পরবর্তীতের তারা যে নির্দেশনা দিবে সেই মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এসময় সেখানে হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের উপকমিশনার কামরুল ইসলাম, পানামা হিলি পোর্টের পরিচালক প্রিন্স চৌধুরী, হিলি স্থলবন্দর আমদানি রফতানিকারক গ্রæপের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন উর রশীদ, বাংলাহিলি কাস্টমস সিআ্যন্ডএফ এজেন্ট আ্যসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুর রহমান লিটন, সাধারন সম্পাদক ও পৌরমেয়র জামিল হোসেন চলন্ত, আমদানিকারক ইদ্রিস আলি মিঠু, পানামা হিলি পোর্টের ম্যানেজার এসএম হায়দার, অশিত স্যানাল, জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন, শ্রমিক সরদার গোলাম মোর্শেদসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
আহসানুজ্জামান সোহেল/অননিউজ24।।
প্রধান সম্পাদক: হুমায়ুন কবির রনি
মোবাইল: ০১৭১৬-৫৩০৫১৪
ইমেইল: onnews24@gmail.com
www.onnews24.com