দিনাজপুর-৬ আসনের সাংসদ শিবলী সাদিক বলেছেন হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ব্যবসা বানিজ্যের সাথে জড়িত সকল কতৃপক্ষ যদি সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেয় ও বন্দরের রাস্তাঘাটগুলোর যদি উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব হয় তাহলে আগামী একবছরের মধ্যে পুর্বের মতো আবারো হিলি স্থলবন্দর থেকে রাজস্ব আহরন সম্ভব। পুর্বে বন্দর থেকে বছরে ৫/৬শ কোটি টাকা রাজস্ব আহরন হলেও বর্তমানে রাজস্ব আহরন ৩শ কোটি টাকায় নেমেছে তার চেয়ে দ্বিগুন পরিমান রাজস্ব আহরন সম্ভব সকল কিছু মেনে নিয়মতান্ত্রিকভাবে বন্দর দিয়ে ব্যবসা বানিজ্য পরিচালনা করে।
বুধবার সন্ধ্যায় বাংলাহিলি কাস্টমস সিআ্যন্ডএফ এজেন্ট আ্যসোসিয়েশন কার্যালয়ে সংগঠনের সদস্যদের সাথে বন্দরের আমদানি রফতানি কার্যক্রম বাড়াতে ও বন্দর থেকে রাজস্ব আহরন বাড়াতে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, দেশের সকল বন্দরের ন্যায় সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা নিয়ম মেনে যেন হিলি স্থলবন্দের ব্যবসা বানিজ্য পরিচালিত হয় এই দাবী বন্দরের সকল ব্যবসায়ীদের, যা আমি স্থানীয় সাংসদ হিসেবে আমারো চাওয়া। কিন্তু এখানকার প্রধান সমস্যা হলো যানজট, বন্দরে গাড়ি রাখার অব্যবস্থাপনা, সেই সাথে কিছু ব্যাপারে অসংগতি।এখানে কিছুটা ল্যাকিনস কাস্টমসের রয়েছে,আবার কিছুটা ল্যাকিনস বন্দর কতৃপক্ষের রয়েছে যা বিস্তারিতভাবে আমাকে জানিয়েছে। অন্যান্য সকল বন্দর দিয়ে পাথর আমদানির ক্ষেত্রে বন্দরের চার্জ পরিশোধ করে ব্যবসায়ীরা তাদের নিজস্ব জায়গায় রাখতে পারলেও হিলি স্থলবন্দরে এর ব্যাতিক্রম।এখানে বন্দর কতৃপক্ষ বন্দরের ভেতরেই পাথরগুলো ডাম্পিং করে রাখে, নাইটচার্জসহ রাত্রিকালীন মাশুল ধরা হয়। লোডআনলোডে মেশিন ব্যবহার করা হয় অথচ শ্রমিকের বিল নেওয়া হচ্ছে কিন্তু শ্রমিকরা কোন বিল পাচ্ছেনা বলে তাদের অভিযোগ রয়েছে। বন্দর কতৃপক্ষ নিজেরাই ব্যবসা করছে সরকারের সাথে তাদের যে চুক্তি রয়েছে তাতে করে তারা নিজেরা ব্যবসা করতে পারবে কিনা এটি নিয়ে আমরা সন্দিহান। বন্দর কতৃপক্ষ যদি নিজেরাই ব্যবসা বানিজ্য করে তাহলে সাধারন ব্যবসায়ীরা কিভাবে ব্যবসা করবে।
তিনি আরো বলেন, হিলি স্থলবন্দর দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর, কিন্তু সেখানকার ব্যবসা বানিজ্যের অবস্থা আজ করুন এখানকার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে গেছে, এখানে সুযোগ সুবিধা না থাকার কারনে ব্যবসায়ীরা এই বন্দর ছেড়ে অন্য বন্দরে গিয়ে ব্যবসা বানিজ্য করছেন। এত পরিমান যানজট যার কারনে স্থানীয় মানুষজনের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। সামগ্রিকভাবে আমরা অনেকগুলো সিস্টেম লসের কারনে অসুবিধার সাথে বসবাস করছি। আমরা আজকে এবিষয়গুলো নিয়ে বৈঠক করেছি বিষয়গুলো নিয়ে সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট স্থানীয় কাস্টমস ও বন্দর কতৃপক্ষের সহিত আলোচনা করে তাদেরকে জানানো হবে জানানোর পরেও যদি কোন সমাধান না হয় তাহলে আ্যসোসিয়েশন বসে সিন্ধান্ত নেবো পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে। তবে আমরা আশা করছি স্থানীয়ভাবেই এগুলোর সমাধান হবে এটাই আমাদের চাওয়া পাওয়া এটি হলেই আমরা আর কারো কাছে যেতে বা অভিযোগ করতে চাইনা। আর যদি এটি না হয় তাহলে কোথা থেকে কিভাবে ঢেলে সাজাতে হবে ও হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসা বানিজ্যের পুর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে তা করা হবে।
বাংলাহিলি কাস্টমস সিআ্যন্ডএফ এজেন্ট আ্যসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে এতে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন উর রশীদ, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খায়রুল বাশার, আ্যসোসিয়েশনের সহসভাপতি শাহীনুর রেজা শাহীন, আ্যসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক ও পৌরমেয়র জামিল হোসেন চলন্ত, যুগ্মসাধারন সম্পাদক হানিফ লস্কর, জাবেদ হোসেন রাসেলসহ অনেকে।
আহসানুজ্জামান সোহেল/অননিউজ২৪।।