কয়েকদিন কমতির দিকে থাকার পরে আবারো দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে আমদানি কমের অজুহাতে পাইকারীতে পেয়াজের দাম বাড়ছে। মাত্র দুদিনের ব্যবধানে পেয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ২টাকা করে, দুদিন আগেও প্রতি কেজি পেয়াজ প্রকারভেদে ২৫ থেকে ২৭টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা বেড়ে ২৭ থেকে ২৯টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরের পেয়াজ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম বলেন, বন্দর দিয়ে পেয়াজের আমদানি অব্যাহত থাকলেও দাম কিছুটা বেড়েছে। এর মুল কারন হলো গতকয়েকদিন ধরে অতিরিক্ত গরমের কারনে আমদানিকৃত পেয়াজের মান কিছুটা খারাপ হওয়ার কারনে খানিকটা বাধ্য হয়ে কম দামে পেয়াজ বিক্রি করতে হওয়ায় পেয়াজ আমদানি করে লোকশান গুনতে হচ্ছিল। এছাড়াও দেশীয় পেয়াজের যে দাম ছিল ৪০টাকা সেটি কমে ৩৫টাকা হওয়ায় আমদানিকৃত পেয়াজের চাহীদা কমে গিয়েছিল যার প্রভাব পড়েছিল দামের উপরে। এর ফলে অব্যাহতভাবে লোকশান গুনতে হওয়ায় পেয়াজের আমদানি কিছুটা কমিয়ে দিয়েছেন বন্দরের আমদানিকারকরা। একইসাথে ভারতের মোকামে পুর্বে যে দামে পেয়াজ ক্রয় করা হতো এখন সেখানে দাম কিছুটা বাড়ায় বাড়তি দামে পেয়াজ আমদানি করতে হচ্ছে। মুলত বাড়তি দামে পেয়াজ আমদানি ও আমদানি কম হওয়ার কারনে দেশের বাজারে পেয়াজের সরবরাহ কিছুটা কমায় দাম বাড়ছে। এছাড়া শনিবার বিশ্বকর্মা পুজা উপলক্ষ্যে দেশের কয়েকটি বন্দর দিয়ে আমদানি বন্ধ থাকায় পেয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল যার কারনে চাহীদার বাড়ার একটা প্রভাব দামের উপরপড়েছে। পেয়াজ আসলে কাচামাল আমদানি বাড়লে হয়তোবা দুটাকা কমবে আবার আমদানি কমলে দুটাকা বাড়বে এটাই নিয়ম।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, বন্দর দিয়ে পেয়াজের আমদানি অব্যাহত রয়েছে, শনিবার বন্দর দিয়ে ২৭টি ট্রাকে ৬৫৬টন পেয়াজ আমদানি হয়েছে। আজ রবিবার বন্দর দিয়ে পেয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। পেয়াজ যেহেতু কাচামাল দ্রুত পচনশীল পণ্য তাই কাস্টমসের প্রক্রিয়া শেষে বন্দর থেকে দ্রত খালাস করতে সবধরনের ব্যবস্থা রেখেছে বন্দর কতৃপক্ষ।
আহসানুজ্জামান সোহেল/অননিউজ24।।