দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি রফতানি বানিজ্যের ক্ষেত্রে বিরাজমান সমস্যাগুলো সমাধান করে ভারত-বাংলাদেশের মাঝে আমদানি রফতানি বানিজ্য গতিশীল করতে দুদেশের ব্যবসায়ীদের মাঝে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ভারতীয় ব্যবসায়ীদের আমন্ত্রনে শুক্রবার বিকেল পৌনে ৫টায় হিলি সীমান্তের চেকপোষ্ট গেটের শুন্যরেখা দিয়ে বিজিবি ও বিএসএফের উপস্থিতিতে ২০সদস্যের একটি বাংলাদেশী ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল বৈঠকে যোগ দিতে ভারতে যান। পরে তারা সীমান্তের শুন্যরেখার ভারত অংশে হিলি কাস্টমস চত্বরে এক বৈঠকে মিলিত হোন। বৈঠকে বাংলাহিলি কাস্টমস সিআ্যন্ডএফ এজেন্ট আ্যসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুর রহমান লিটন ও সাধারন সম্পাদক জামিল হোসেন চলন্ত এর নেতৃত্বে ২০সদস্যের বাংলাদেশী একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল অংশগ্রহন করেন।
অপরদিকে ভারতের হিলি এক্সপোটার্স এন্ড কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্ট আ্যসোসিয়েশনের সভাপতি আলাউদ্দিন মন্ডল ও সাধারন সম্পাদক ধীরাজ অধিকারীর নেতৃত্বে ভারতীয় ২০সদস্যের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল অংশগ্রহন করেন। বৈঠকের শুরুতেই দুদেশের সিআ্যন্ডএফ এজেন্ট আ্যসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ফুল উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করা হয়। বৈঠকে বন্দর দিয়ে দুদেশের মাঝে পণ্য আমদানি রফতানি কার্যক্রম আরো গতিশীল করতে বন্দরের বিরাজমান নানা সমস্যাগুলো ও এর সমাধানের বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। বৈঠক শেষে সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় একইপথ দিয়ে বাংলাদেশী ব্যাবসায়ী প্রতিনিধি দলটি দেশে ফিরে আসেন।
দেশে ফিরে বাংলাহিলি কাস্টমস সিআ্যন্ডএফ এজেন্ট আ্যসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক ও পৌরমেয়র জামিল হোসেন চলন্ত বলেন, আমরা মুলত ৫টি দফা নিয়ে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা করেছি। কনসার্নমেন্ট পুর্ন করে পণ্য রফতানি করা, খালি ট্রাকগুলো সকাল সকাল ভারতে গ্রহন ও দ্রুত পণ্য রফতানি করা, আমদানিকৃত পণ্যবাহী ট্রাকে অবৈধ পণ্য বহন না করা, আমদানিকৃত পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যা ও সময় বাড়ানো, আনুপাতিক হারে কাচামালসহ সকল ধরনের পণ্য যেন রফতানি করা হয় এ বিষয়গুলো নিয়ে কথা হয়েছে। বৈঠকে তাদের সাথে আমাদের আলোচনা অত্যান্ত ফলপ্রসু হয়েছে, এতে করে দুদেশের মাঝে পণ্য আমদানি রফতানি বানিজ্য আরো গতিশীল হবে।