হিলি প্রতিনিধি।। করোনা ভাইরাসের প্রকোপ কিছুটা কমায় ও লকডাউন না থাকায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মাঝে আর্ন্তজার্তিক পণ্য আমদানি রফতানি বানিজ্যের সময় বাড়াতে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশী ব্যাবসায়ীদের নিকট আবেদন করেছে।
শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় হিলি সীমান্তের চেকপোষ্ট গেটের শুন্য রেখায় ভারতের হিলি এক্সপোটার্স এন্ড কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্ট আ্যসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক ধীরাজ অধিকারী বাংলাদেশের হিলি কাস্টমস সিআ্যন্ডএফ এজেন্ট আ্যসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল আজিজের নিকট এই পত্র দেন। এসময় সেখানে ভারতীয় ব্যবসায়ী গনেশ সাহা, হিলি স্থলবন্দর আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের সাধারন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শাহিনুর রেজাসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।ভারতের হিলি এক্সপোটার্স এন্ড কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্ট আ্যসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক ধীরাজ অধিকারী স্বাক্ষরিত ওই পত্রে জানানো হয়, ভারত থেকে বাংলাদেশে রফতানির উদ্দেশ্যে প্রায় ১১শ থেকে ১২শ রফতানিকৃত পণ্যবোঝাই ট্রাক রফতানির অপেক্ষায় আমাদের ৫১২নম্বর জাতীয় সড়কে সারিবদ্ধভাবে দাড়িয়ে আছে। এরফলে জাতীয় সড়কে অন্যান্য যানবাহন চলাচলে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এরউপর এতদিন চাল রফতানি বন্ধ ছিল বর্তমানে আবারো বন্দর দিয়ে চাল রফতানি শুরু হয়ে গেছে। এতে করে আমরা সময়ের অভাব অনুভব করছি। তাই পুর্বের ন্যায় ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আমদানি রফতানি কার্যক্রম চালু রাখার আবেদন জানাই। বর্তমান পরিস্থিত বিবেচনা করে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দুদেশের মাঝে আর্ন্তজার্তিক আমদানি রফতানি বানিজ্য যাতে সুষ্ঠভাবে ও বিনাবাধায় পরিচালিত হয় তার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া অনিবার্য হয়ে উঠেছে বলে চিঠিতে জানানো হয়।
বাংলাহিলি কাস্টমস সিআ্যন্ডএফ এজেন্ট আ্যসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল আজিজ জানান, দেশে করোনার সংক্রামন রোধে বিভিন্ন সময়ে লকডাউন চলার কারনে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে বন্দর দিয়ে আমদানি রফতানি চালু রাখা হয়েছিল। সেসময়ে বন্দর দিয়ে দুদেশের মাঝে পণ্য আমদানি রফতানি বানিজ্য সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে কমিয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত করা হয়েছিল এবং এর পর থেকে খালি ট্রাক যাওয়ার সময়সীমা নির্ধারন করা হয়েছিল। বর্তমানে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ কিছুটা কমায় ও লকডাউন না থাকায় দেশের অন্যান্য বন্দরের ন্যায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি রফতানি বানিজ্য পুর্বের ন্যায় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত চালু রাখার বিষয়ে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে আমাদেরকে পত্র দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমাদের আ্যসোসিয়েশনের সদস্য,বন্দর কতৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসনের সহিত কথা বলে এবিষয়ে সিন্ধান্ত গ্রহন করা হবে, যা ভারতীয় ব্যবসায়ীদের জানানো হবে বলেও জানান তিনি।
আর/জে/অননিউজটুয়েন্টিফোর