কুমিল্লার মুরাদনগরে হেলিকপ্টারে চড়ে প্রবাস হতে দেশে ফিরে এলাকাবাসীর আলোচনায় রয়েছেন প্রবাসী কামাল মিয়া। তিনি উপজেলার জাহাপুর ইউনিয়নের দরিকান্দি গ্রামের বাসিন্দা। গত মঙ্গলবার সকালে বিমানে চড়ে কুয়েত থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করলে পরিবারের সদস্যরা ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানায় তাকে। তারপর হেলিকপ্টার যোগে দুপুরে মুরাদনগর দূর্গা রাম পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পরিবার সহ অবতরণ করেন তিনি। এসময় হেলিকপ্টারে তার সফর সঙ্গী হিসেবে ছিলেন তার পত্নী সাবিনা ইয়াসমিন, পুত্র মোঃ তামিম, মেয়ের স্বামী হেলাল ও ভাতিজা জামাল।
উপজেলার কৃতি সন্তান প্রবাস ফেরত কামাল মিয়া হেলিকপ্টারে চড়ে মুরাদনগর অবতরণ করবে সংবাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে আলোড়ন সৃষ্টি হয় এলাকাজুড়ে। তার আগমনের সময় হলে আবালবৃদ্ধবনিতা ভীড় জমাতে শুরু করে হেলিকপ্টার ও তাকে এক নজর দেখার আশায়। মূহুর্তে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় বিদ্যালয় মাঠ।
স্থানীয় গ্রামবাসী ও উৎসুক জনতা বলেন, হেলিকপ্টারে করে সাধারণত এমপি, মন্ত্রী ও বড় ব্যবসায়ীরা আসে। তবে প্রবাসীরা হেলিকপ্টারে করে গ্রামে আসতে দেখিনি। দরিকান্দি গ্রামের সন্তান হিসেবে এই প্রথম প্রবাস থেকে কেউ হেলিকপ্টারে করে দেশের বাড়িতে আসলো। তার হেলিকপ্টারে করে আগমন গ্রামবাসীর জন্য আনন্দের। দীর্ঘ ৩০ বছর সে রেমিট্যান্স যোদ্ধা হিসেবে প্রবাসে কাজ করেছে। এলাকার উন্নয়নে তার অবদান ছিল, আশা করবো তিনি অদূর ভবিষ্যতে গ্রামের নাম আরও উজ্জ্বল করবে।
প্রবাসী কামাল মিয়া বলেন, আমার দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন ছিল পাখির ডানায় উড়ে গ্রামের বাড়িতে যাব। আকাশ থেকে দেখবো আমার প্রিয় দেশ দেখতে কতটা সুন্দর। ছেলে ও পরিবারকে হেলিকপ্টারে চড়াবো। তাই মূলত হেলিকপ্টারে করে প্রবাস হতে দেশে আসা। দীর্ঘদিন পরে হলেও স্বপ্নটা বাস্তবে রূপ নেওয়ায় মহান আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্টি কামনা করছি। আমাকে বরণ করতে মুরাদনগর উপজেলার মানুষ যেভাবে এগিয়ে এসেছে সত্যি বলতে তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।