চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোনো শত্রুর হামলা নয়, বৈরি আবহাওয়ার কারণেই বিধ্বস্ত হয় রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার।
ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি চলতি বছরের ১৯ মে হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে মারা যান। তার হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত নিয়ে নানান গুজব ছড়ালেও রোববার ভয়াবহ সেই দুর্ঘটনার চূড়ান্ত কারণ জানিয়েছে ইরান।
গত ১৯ মে রাষ্ট্রীয় সফর শেষে ফেরার পথে হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে প্রাণ হারান ইরানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। একই দুর্ঘটনায় নিহত হন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির আব্দুল্লাহিয়ানসহ আরো কয়েকজন।
শুরু থেকেই রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের কারণ নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠতে থাকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসতে শুরু করে নানা প্রতিক্রিয়া। এর পেছনে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে দায়ী করেন অনেকে।
এই ঘটনায় ইরানজুড়ে কয়েকদিন ধরে চলে রাষ্ট্রীয় শোক। প্রিয় নেতাকে শেষ বিদায় জানাতে রাস্তায় লাখ লাখ মানুষের ঢল নেমেছিল। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে নিজ শহর মাশহাদে দাফন করা হয় ইব্রাহিম রাইসিকে।
কারণ জানতে দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের একটি দল তদন্ত শুরু করে। পরপর প্রতিবেদনও দেয় দলটি। প্রাথমিক রিপোর্টে দুর্ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এর সঙ্গে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র বা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড জড়িত নেই বলে জানায় দলটি।