কুমিল্লার হোমনা-তিতাস উপজেলার ২০টি ইউনিয়নের মধে মজিদপুর ইউনিয়নের বর্তমান নির্বাচিত চেয়ারম্যান মো:ফারুক মিয়া চলতি দায়িত্ব পালন করছেন। আগামী নির্বাচনে তিনি পুনরায় প্রার্থিতা চাইবেন। তবে সাধারন মানুষদের মনোভাবটা বদলে গেছে। বিগত দিনে যত কাজ করেছেন তার সবটাই ছিলো স্বচ্ছতায় সরকারী রুটিন ওয়ার্ক। দৃশ্যমান যত উন্নয়ন- তার পুরোটাই দাবীদার মাননীয় সাংসদ এবং স্থানীয় সরকার। এবার পছন্দের তালিকায় রেখেছেন-জনপ্রিয় চেয়ারম্যান জাতীয়পাটির প্রার্থী ফারুক মিয়া ।
অনেক গুলো পজেটিভ বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে তিতাসের ৯টি ইউনিয়নের সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিরবে জনসংযোগ করে যাচ্ছেন। তবে এবার দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের জন্য দলের সিনিয়র নেতা ও নীতি নির্ধারকদের কাছে ধর্না দিচ্ছেন নিরবে। তবে শেষ অব্দি কার ভাগ্যে নৌকার টিকেট জুটবে- সেটা সময়ের ব্যাপার। উল্লেখ্য যে, কুমিল্লার তিতাসের ৯টি ইউনিয়নের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়ন মজিদপুর ইউনিয়নের ০৭ নং ওয়ার্ডের ভোটার ফারুক মিয়া। তিনি বলেন, আমার অতীতের পলিটিকেল ক্যারিয়ার ও এলাকার গ্রহণযোগ্যতার বিষয়টি বিবেচনা করলে আমি ইনশাল্লাহ দল থেকে পুনরায় নমিনেটেড হতে না পারলেও আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মাঠে থাকতে চাই।
৪৯ বছরের মোঃ ফারুক মিয়া বেড়ে উঠেছেন তার গ্রামের বাড়িতে। তার বাবা মরহুম আনুমিয়া সরকার। তিনিও এক সময় এই এলাকার জনপ্রতিনিধি ছিলেন দীর্ঘ ৩যুগেরও বেশী। পাশাপাশি আওয়ামী ঘরনার রাজনীতি করতেন। পড়াশোনা করেছেন তার স্থানীয় গৌরীপুর স্কুলে। পরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে ইন্টার পাশ করেন। ছাত্রবাস্থায় ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন। এরপর জীবন ও জীবিকার জন্য জাপানে দীর্ঘ ১১টি বছর প্রবাসে ছিলেন। ফিরে এসে স্থানীয় রাজনীতির সাথে ও সমাজ উন্নয়নের কাজে লেগে যান। ২০১৬তে ইউ পি নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাইলে-প্রতিপক্ষ নানাভাবে হয়রানি করতে শুরু করে। তফসিল ঘোষণার ৬দিন পূর্বে মিথ্যা মামলায় তাকে কারাগারে যেতে হয়। কারাগারে বসে নমিনেশন জমা দেন। আর তখনি কারাগারে বসে বিপুল ভোটে জয় লাভ করেন। এ সময় ৩৪মামলায় তাকে ফাঁসানো হয়।
হোমনা-তিতাস উপজেলার ৯+১১টি ইউনিয়ন বর্তমান। আর এখানকার বর্তমান সাংসদ সেলিমা আহমেদ মেরী। এক সময় বি এন পির ড: খন্দকার মোশারফ হোসেন ও এম কে আনোয়ার ছিলেন। আর বর্তমান সাংসদের দিক নির্দেশনা ও পৃষ্টপোষকতায় যথেষ্ঠ উন্নয়ন সাধন করা হয়েছে এ এলাকায়। এখানকার রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ, অবকাঠামো উন্নয়নে যথেষ্ট দৃশ্যমান। সবকটি চেয়ারম্যান সরকার দলীয়। আগামী ইউপি নির্বাচনের বর্তমান চেয়ারম্যান ছাড়াও আরো কয়েকজন দল থেকে নমিনেটেড হতে চাইবেন। এদিকে বর্তমান সাংসদ ও উপজেলার চেয়ারম্যানের দিক নির্দেশনায় আগামী দিনগুলোতে জননেত্রী শেখ হাসিনার আমার গ্রাম-আমার শহর প্রতিপাদ্যকে বাস্তবায়ন করার লক্ষে কাজ করার অভিমত প্রকাশ করেন বর্তমান এই চেয়ারম্যান।
এদিকে সারা দেশে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি ইতি মধ্যেই নির্বাচন কমিশন গ্রহণ করেছেন। মার্চ থেকে শুরু করে জুন মাসের শেষ নাগাদ ধারাবাহিক ভাবে গত বারের মত ৫ ধাপে নির্বাচন শেষ করতে চান স্থানীয় মাঠ প্রশাসন। দেশে বর্তমানে ৪ হাজার ৫৭১ টি ইউনিয়ন পরিষদ বিদ্যমান। ২০১৬ সালে ২২ শে মার্চ শুরু হয়ে ৪ জুন পর্যন্ত কয়েক ধাপে নির্বাচন সমাপ্ত করে সরকার। স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন অনুসারে মেয়াদ শেষ হওয়ার ১৮০ দিন পূর্বে পরবর্তী পরিষদের গ্রহণযোগ্যতা থাকে। আর সেই আলোকে কুমিল্লা ১৭ টি উপজেলার ৩১২ টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের জন্য ইতিমধ্যেই কুমিল্লার মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশনা পাঠিয়েছেন সি.ই.সি। এর মধ্যে লাকসাম উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন পরিষদ, মনোহরগঞ্জের ১১ টি ইউনিয়ন, লালমাই উপজেলা ১১ টি , দেবিদ্বারে ১৫ টি, বি-পাড়া ও বুড়িচং এ ১৭টি ও মুরাদনগরের ২২ এবং হোমনা-তিতাসের ২০টি অন্যতম।
এদিকে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, এবার যারা মনোনয়ন প্রত্যাশি সবাই আওয়ামী দলীয় নেতা কর্মী। দীর্ঘ দিন যাবৎ এ এলাকার রাজনীতিবীদ ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে –আ.হ.ম মোস্তফা কামাল (লোটাস কামাল) সাবেক রেল মন্ত্রী এডভোকেট মুজিবুর রহমান। অপরদিকে উত্তর জেলার রুহুল আমিন ও রওশন আলী মাষ্টার দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের দিক নির্দেশনায় এবারের নির্বাচনেও দলীয় প্রার্থী নির্বাচিত হবেন। তবে এখানকার বর্তমান এমপি গণ কাকে রেখে কাকে দলীয় টিকেট দেবেন- তা নিয়ে ঝল্পনা কল্পনার শেষ নেই। ৩২০ টি ইউনিয়নের সকল প্রার্থীরাই মনে করেন তারা এমপির পছন্দের মানুষ। এই পছন্দের প্রার্থীতা বাছাই করতে তৃণমূলের নেতা কর্মীদের কাউন্সিল অধিবেশন কিংবা বর্ধিত সভার মধ্য দিয়ে দলীয় ভাবে নমিনেটেড করলে কোন বিদ্রোহী প্রার্থীর আগমন ঘটবে না। সবাই তার জন্য এক হয়ে কাজ করবেন।
এ বিষয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান ফারুক মিয়া বলেন, দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যাবার তেমন কোন সুযোগ নেই। আগামীতে পূণরায় নির্বাচিত হতে পারবো বলে আমার দৃড় বিশ্বাস। আর সে বিশ্বাসের উপর ভর করে আমি নির্বাচনের মাঠকে গুছিয়ে রেখেছি। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হলে, এবং জনগণ যদি ভোট প্রদান করতে কেন্দ্রে গিয়ে তাদের পবিত্র আমানত প্রয়োগ করতে পাওে তাহলে ইনশাল্লাহ আমি পূণরায় দল থেকে না হলেও স্বতন্ত্র হিসাবে উঠে আসবো। আর নির্বাচিত চেয়াম্যান হিসাবে অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করে, আমার মজিদপুর ইউনিয়কে অত্যাধুনিক-মডেল ডিজিটালাইস্ট ইউনিয়ন উপহার দিবো। পাশাপশি জননেত্রী শেখ হাসিনার এবারের প্রতিপাদ্য- “আমার গ্রাম-আমার শহর” বাস্তবায়িত করতে আমরা বদ্ধ পরিকর।