প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি।।
খাগড়াছড়িতে হোমিওপ্যাথিক ঔষধের সঠিক মান ও গুণগত মান নিয়ন্ত্রক বিষয়ক শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৯জুন) জেলা শহর মিলনপুরস্থ ‘হোটেল গাইরিং’র সম্মেলন কক্ষে প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজন করে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন নুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশন।এতে সহযোগিতা করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ‘মেডিসিনাল প্লান্ট এন্ড হারবাল প্রোডাক্টস্ বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ও এইচ এম পার্বত্য হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মুনতাসির জাহান।
প্রশিক্ষণে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল ডাঃ মাহবুব হাফিজ।তিনি বলেন, হোমিও চিকিৎসার উন্নয়নে বর্তমান সরকার খুবই আন্তরিক। এব্যাপারেও সরকার কাজ করে যাচ্ছে। দেশে শতভাগ স্বাস্থ্যভাগ নিশ্চিত করতে হলে হোমিও চিকিৎসার বিকল্প নেই।এজন্য স্ব স্ব অবস্থান থেকে হোমিওচিকিৎসার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে নিতে হবে। আগামীতে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে বড় ধরনের কর্মসূচি করার আশ্বাস দেন।
এসময় বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি ডা. মোঃ আলী হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. জিয়াউল হক, এইচ এম পার্বত্য হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ(ভারপ্রাপ্ত)ডা. জ্যোতি বিকাশ চাকমা, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশনের কার্যকরী সদস্য ডা. মোস্তাক আল-রুবিন, এইচ এম পার্বত্য হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি এ্যাড. মোঃ আকতার উদ্দিন মামুন, এইচ এম পার্বত্য হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের ম্যানেজিং কমিটির স্থায়ী দাতা সদস্য এবং খাগড়াছড়ি পৌরসভার উপ-সহকারি প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার এস এম নাজিম উদ্দিন প্রমুখ। এছাড়াও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন এইচ এম পার্বত্য হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের প্রভাষক ডা. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, ডা. মোঃ জিন্নাত আলী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ও এইচ এম পার্বত্য হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মুনতাসির জাহান বলেন, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা একটি প্রাচীন ও আদি চিকিৎসা। হোমিওপ্যাথি ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাব্যবস্থা আমাদের সমাজে বহুল প্রচলিত।টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার কোন বিকল্প নেই। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার আগে এলোপ্যাথিক চিকিৎসার পাশাপাশি হোমিও চিকিৎসাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সাধারণ মানুষ আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার পাশাপাশি এ চিকিৎসা ব্যবস্থার সুফল ভোগ করছে। তবে প্রশিক্ষিত চিকিৎসকদের মাধ্যমে এ চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু থাকতে হবে। ঔষধ কোম্পানীদেরও সঠিক এবং গুণগত মানের ঔষধ প্রস্তুত করতে হবে।যাতে মানুষ ভুল চিকিৎসায় কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
এসকেডি/অননিউজ