ওভারলোডিং বন্ধ পার্কিং চার্জ বৃদ্ধিসহ নানা জটিলতার কারনে ১৪দিন বন্ধের পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পুনরায় চিপস পাথর আমদানি শুরু হয়েছে। এতে করে পাথরের অভাবে দেশে যে উন্নয়নমুলক কর্মকান্ড ব্যাহত হচ্ছিল ও সরকারের রাজস্ব আয় ব্যাহত হচ্ছিল তা কেটে যাবে বলে পাথর ব্যবসায়ী ও বন্দর কতৃপক্ষের আশা।
রবিবার সকাল সাড়ে ১১টায় ভারত থেকে চিপস পাথরবাহী ট্রাক প্রবেশের মধ্যে দিয়ে বন্দর দিয়ে চিপস পাথরের আমদানি শুরু হয়। তবে তা পুর্বের মতো ওভারলোডিং নয় সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক ট্রাকের নিদ্রিষ্ট পরিমান পণ্য পরিবহন মোতাবেক(আন্ডারলোডিং)পাথর আমদানি শুরু হয়েছে। বিকেল পৌনে ৩টায় এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বন্দর দিয়ে ১৪টি ট্রাক ৩৬৪টন চিপস পাথর আমদানি হয়েছে, আরো পাথর আমদানি হবে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের সাধারন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ভারতে নানা জটিলতার কারনে গত ১৩তারিখ থেকে বন্দর দিয়ে চিপস পাথর আমদানি বন্ধ ছিল। তবে এসময় তাদের দেশের সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক নিদ্রিষ্ট পরিমান (আন্ডার লোডিং) ভিত্তিতে বোল্ডার পাথর আমদানি অব্যাহত ছিল। এবিষয়ে ভারতীয় ব্যবসায়ী সংগঠনের সভাপতি/সম্পাদকের সাথে কথা বলে আমরা অনুরোধ জানিয়েছিলাম তারা আমাদের জানিয়েছিল রবিবার থেকে চিপস পাথর রফতানি করবে। সে মোতাবেক আজ তারা চিপস পাথর রফতানি করায় বন্দর দিয়ে চিপস পাথরের আমদানি শুরু হয়েছে। তবে পাথর আমদানি হচ্ছে তাদের সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক আন্ডার লোডিং পদ্ধতিতে। তবে এই পদ্ধতিতে আরো কয়েকদিন আগে থেকেই পাথর আমদানি হওয়ার কথা ছিল কিন্তু বিষয়টি ভারতের স্থানীয় ট্রাক সিন্ডিকেটের কারনে সম্ভব হয়নি। বাহিরের পার্টিরা সরকার নির্ধারীত আন্ডারলোডিং পদ্ধতিতে চিপস পাথর রফতানি করতে চাইলেও স্থানীয় ট্রাক সিন্ডিকেট ওভারলোডিং পদ্ধতিতে পাথর রফতানি করবেন মর্মে তারা সেটি করতে দেয়নি। এখন তো আর ওভারলোডিং চলবেনা তাদের সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক বোল্ডার পাথর সেই নিয়ম অনুযায়ি রফতানি করায় সেটি পুর্বে থেকেই চালু রয়েছে। শুধু চিপস পাথর বন্ধ ছিল সেটিও আজ থেকে আন্ডারলোডিং পদ্ধতিতে আমদানি চালু হলো।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, বন্দর দিয়ে বোল্ডার পাথরের আমদানি অব্যাহত থাকলেও গত ১৩তারিখ থেকে চিপস পাথর আমদানি সম্পুর্নরুপে বন্ধ ছিল। ১৪দিন বন্ধের পর আজ রবিবার পুনরায় ভারত থেকে চিপস পাথর আমদানি শুরু হয়েছে। দেশের বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কর্মকান্ডে এই পাথরের ব্যাপক চাহীদা রয়েছে। এই পাথর আমদানি শুরু হওয়ার ফলে এতে করে সরকারের রাজস্ব আয় যেমন বাড়বে তেমনি স্থলবন্দরের দৈনন্দিন আয় সেটিও বৃদ্ধি পাবে। সেই সাথে এই পাথর আমদানির ফলে দেশে যে পাথরের ছিল সেটি পুরন হবে বলে মনে করছি।
প্রসঙ্গত, ভারতে ওভারলোডিং বন্ধসহ ট্রাকের পার্কিং চার্জ দিনে ১শ টাকার স্থলে ৪শ টাকা, হল্টেজ চার্জ সারাদিনে ৩০টাকার পরিবর্তে ঘন্টা প্রতি ৫০টাকা করে নেওয়া শুরু করলে ১৩তারিখ থেকে চিপস পাথর রফতানি বন্ধ করে দিয়েছিলেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা।