দেবীদ্বার (কুমিল্লা) প্রতিনিধি।।
১৫ ই আগস্ট! একটি ক্ষত। যা কখনো শুকাবার নয়। ক্যালেন্ডারের পাতায় এটি একটি সংখ্যা হলেও এটি বাংলাদেশের স্বপ্নকে হত্যা করার দিন। স্বাধীন বাংলাদেশ তখন স্বপ্ন দেখছিলো এগিয়া যাওয়ার আর এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান।
এই অবিসংবাদিত নেতার স্বপ্ন ছিলো বাঙালির স্বাধীনতা ও জাতিসত্তা প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু দূর্ভাগ্য! আজীবন স্বপ্নের সেই স্বাধীন বাংলাদেশের একদল ঘাতক তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। সেদিন ছিলো বাঙালী জাতির ইতিহাসে এক কলঙ্কময় দিন।
ঘাতকের বুলেট 'বঙ্গবন্ধু' নামের প্রদীপ নিভিয়ে দিলেও বাঙালির হৃদয় থেকে তাকে সরাতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু ছিলেন, আছেন, থাকবেন একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক এবং বাঙালির জাতির পিতা হিসেবে।
শনিবার সকালে কুমিল্লার দেবীদ্বার রসুলপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত ১৫ই আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে শোক সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ব্যক্তব্যে এসব কথা বলেন কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দেবীদ্বার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদ।
রসুলপুর ইউনিয়ন পরিষদের এই সভা হয়। ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান সরকারের সভাপতিত্বে ও এস এম নিজাম সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির ছিলেন বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি লুৎফুর রহমান বাবুল,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সুলতানপুর ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মো. হুমায়ুন কবির, দেবিদ্বার উপজেলা আওয়ামীলীগ এর প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাজী মুসলেউদ্দিন ভূইয়া মানিক, গুনাইঘর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোকবল হোসেন মুকুল, উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য সৈয়দ আলী মাস্টার।
দেবীদ্বার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদ কালাম আরও বলেন, এ ঘাতকচক্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যা করলেও তার স্বপ্ন ও আদর্শের মৃত্যু ঘটাতে পারেনি। বর্তমানে স্বাধীনতাবিরোধী একটি সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী এবং গণতন্ত্র বিরোধী চক্র এখনও নানাভাবে চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এই অপশক্তির যে কোন অপতৎপরতা-ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করে দেশের উন্নয়নে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও গণতন্ত্র রক্ষার জন্য সর্বদা প্রস্তত থাকতে আমি সকলের প্রতি অনুরোধ করছি। আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ৪র্থবারের মত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জয়যুক্ত করুন।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক, আনোয়ার হোসেন ভূইয়া টিটু, সাবেক জেলা যুব মহিলা লীগের যুগ্ন আহবায়ক শামসুন্নাহার, ফতেহাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান মাসুদ, জাফারগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদ আলম, ভানী ইউপি চেয়ারম্যান, হাজী জালাল উদ্দিন ভূইয়া, আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম সরকার, মাহবুবুর রহমান সরকার, হানিফ সরকার প্রমুখ।