১৬ বছর পর এলাকায় ফিরে আবেগ আপ্লুত নড়াইলে টেক্সাস বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলামকে গণসংবর্ধনা
নড়াইল প্রতিনিধি।।
আওয়ামীলীগ সরকারের হামলা-মামলা ও নির্যাতনের কারনে দেশত্যাগ করার ১৬বছর পর এলাকায় ফিরেছেন আমেরিকার টেক্সাস বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ জহিরুল
ইসলাম জহির। দীর্ঘদিন পর এলকায় ফেরায় বিএনপির ও এলাকাবাসী ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করেছেন। নিজ গ্রামে নিয়ে দেয়া হয়েছে গণসংবর্ধনা।
৬ জানুয়ারী (সোমবার) বেলা ১১টার দিকে শেখ জহিরুল ইসলাম ঢাকা বিমানবন্দর থেকে সড়ক পথে নড়াইল চৌরাস্তায় জেলা বিএনপির কার্যালয়ে পৌঁছান। এর
আগেই এলাকারবাসী দুই শতাধিক মোটর সাইকেল নিয়ে মধুমতি সেতু হতে বরণ করেন। সেখান থেকে মোটর সাইকেল শোভাযাত্রাটি নড়াইল চৌরাস্তায় জেলা
বিএনপি কার্যালয়ে পৌঁছায়। এসময় শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে। জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও নড়াইল পৌরসভার সাবেক মেয়র জুলফিকার
আলীসহ বিএনপি নেতৃবৃন্দ ও পেড়লী ইউনিয়নে বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করেন জহিরুলকে। পরে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে
তাকে দেয়া সংবর্ধনা দেয়া হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন পেড়লী ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আলতাফ উদ্দীন আনসারী, জেলা যুবদলের যুগ্ন সাধারন মো: শহিদুল ইসলাম, কালিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম মোর্শেদ,পেড়লী বাজার বণিক সমিতির সভাপতি জেষ্ঠ প্রভাষক মো: আলমগীর হোসেন,সাধারণ সম্পাদক বিএনপি নেতা মো: জহিরুল ইসলাম, পেড়লী ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি জামির হোসেন মোল্যা, সাংগঠনিক সম্পাদক রহমত শেখ,যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ই¯্রাফিল জোয়ার্দ্দার,কালিয়া উপজেলা যুবদল নেতা বাবুল জোয়ার্দ্দার, ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সেক্রেটারি বাবুল শেখ,সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম,৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি দিদার জোয়ার্দ্দার, সেক্রেটারি ইয়ামিন শেখ,সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার শেখ।
পরে মোটর সাইকেল শোভাযাত্রা সহকালে জহিরুল ইসলামকে গ্রামের বাড়ি কালিয়া উপজেলার পেড়লী গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও ফুল দিয়ে বরণ করেন
আত্মীয় স্বজন ও বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এক প্রতিক্রিয়ায় জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘ আমি ১৬ বছর ধরে দেশে আসতে পারিনাই ফ্যাসিষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের কারনে। দেশে থাকা অবস্থায় হামলা, মামলা
ও নির্যাতন চালানো হয়েছে। ক্রস ফায়ার দিয়ে হত্যার ভয় দেখানো হয়েছে।
নিরাপত্তাহীনতার কারনে দেশ ত্যাগ করতে হয়েছে। জুলাই আগষ্ট সংঘটিত বিপ্লবের মাধ্যমে দেশের ছাত্র-জনতার তাজা রক্তের বিনিময়ে আমরা নতুন স্বাধীনতা
পেয়েছি। তাদের রক্তের বিনিময়ে আমি আজ দেশে আসতে পেরেছি। স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছি। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। অতীতের ন্যায় ভবিষ্যতে
শহীদ জিয়ার একজন সৈনিক হিসেবে কাজ করে যাবো।’