ঢাকা মহানগর (উত্তর) জামায়াতের আমির মো. সেলিম উদ্দিন বলেছেন এদেশ এখন ১৮ কোটি মানুষ চালাচ্ছে। অধ্যাপক গোলাম আযমের রূপরেখার তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নামে কাজ করছে। এ সরকার শুধুমাত্র একটি গ্রহণযোগ্য, অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করা পর্যন্ত দায়ীত্ব পালন করবেন। এসরকারকে বেকায়দা ফেলতে খুনী হাসিনা ভারতে বসে ষড়যন্ত্র করছে। আনসার রূপে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের রাস্তায় নামিয়েছিলেন। দাবি আদায়ের নামে তারা এ সরকারের পতন চেয়েছিল।
সে ষড়যন্ত্রে ব্যর্থ হয়ে ভারতকে দিয়ে ১১৯টি রেগুলেটরের পানি ছেড়ে দিয়ে বাংলাদেশের মানুষদেরকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করতে চেয়েছিল। সে চেষ্টাও ব্যর্থ হয়েছে। ২০০৬ সালে লগি বৈঠা দিয়ে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের হত্যা, ২০১৩ সালে মতিঝিলের শাপলা চত্ত্বরে গুলি করে আলেম ওলামাদের গণ হত্যা, বিডিআর বিদ্রোহের নামে ৫৭ জন সেনা অফিসারকে হত্যা এবং ২০২৪সালে ছাত্র-জনতাকে গণ হত্যার বিচার বাংলার মাটিতে করা হবে। এসব মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচারে ডাইনি ও খুনি হাসিনাকে আন্তর্জাতিক আদালতেও বিচারের মুখোমুখী করা হবে। হাসিনার লালিত সব চেয়ে বেশি জঙ্গি ও সন্ত্রাসী সংগঠন আ.লীগ এবং ছাত্রলীগ থেকে এদেশের মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। আগামী ১০০ বছরেও এ জঙ্গি ও সন্ত্রাসী সংগঠন এ দেশের মাটিতে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবেননা। ১৮ কোটি জনগণ তাদেরকে ঘৃণা করছে।
ছাত্ররা চেয়েছিল কোটা সংস্কার। শেখ হাসিনার পাপের পাল্লা এত যে ভারী হয়ে গিয়েছে সে এখন দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে চলে যেতে হয়েছে। আগামীতে জামায়াতে ইসলামের নেতৃত্বে ইনসাফের সরকার গঠন করা হবে। ইনসাফ ও ন্যায় বিচার করতে হলে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের ঘরে ঘরে গিয়ে দ্বীনের দাওয়াত দিতে হবে। জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা আজও রাত জেগে হিন্দু, বৌদ্দ, খ্রিস্টান সহ সব মানুষের নিরাপত্তা দিচ্ছেন। হাসিনার কোন ষড়যন্ত্র এদেশের মাটিতে সফল হতে দেবোনা।
আমরা এখনও জেগে আছি। যেখানে চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও অপরাধ সংগঠিত হবে সেখানেই ছাত্র জনতা এবং জামায়াত-শিবির প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। আ.লীগের নেতারা বলেছিল তারা ক্ষমতাচ্যুত হলে এ দেশে এক দিনে এক লাখ লোক মারা যাবে, কিন্তু সে ক্ষেত্রে একজন লোকও মারা যায়নি। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। আজকের বাংলাদেশ ইতিহাসের মাইল ফলক হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দ্যুতি ছড়াচ্ছে। বৈষম্যহীন সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষানীতি বদলাতে হবে। কোরআন ও হাদীসের বই তুলে দিয়ে আধুনিক শিক্ষায় জাতিকে শিক্ষিত করা হবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে এসে সোনাগাজী উপজেলা ও পৌর জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত জিরোপয়েন্টে এক পথসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এসব কথা বলেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের সহ সেক্রেটারি ডা. ফখরু উদ্দিন মানিক, জেলা জামায়াতের আমির একে এম সামছু উদ্দিন, সেক্রেটারি মুফতি মাও. আবদুল হান্নান।
সোনাগাজী উপজেলা জামায়াতের আমির মাও. মো. মোস্তফার সভাপতিত্বে ও পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি মহসিন ভূঞার সঞ্চালনায় আয়োজিত পথসভায় আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা সহকারি সেক্রটারি মাও. আবদুর রহিম, জেলা কর্মপরিষদের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ফখরু উদ্দিন, হবিব উল্যাহ বাহার, আবু বক্কর ছিদ্দিক মানিক, উপজেলা জামায়াতের আমির মাও. কালিম উল্যাহ, উপজেলা জামায়াতের সেক্রটারি এসএম বদরুদ্দোজা, ইসলামী আন্দোলনের উপজেলা আমির মুফতি আহসান উল্যাহ কাসেমি, উপজেলা সেক্রটারি হাফেজ হিজবুল্লাহ, খেলাফত মজলিশের উপজেলা সভাপতি মাও. আবদুর রহমান ও সেক্রটারি নুরুল আলম।