বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ২০২৪ সালের জুনে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় ১৭২ কিলোমিটার রেলপথের
নির্মাণ কাজ শেষ হবে। এতে রাজধানীর সঙ্গে সংযুক্ত হবে দক্ষিণ-পশ্চিমের ৯টি জেলা। মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মল্লিকপুর
ইউনিয়নের নিজ গ্রাম করফায় বাবার নামে ১০ শয্যা বিশিষ্ট ‘অধ্যাপক শেখ মোঃ রোকন উদ্দীন আহমেদ’ মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এসব
কথা বলেন তিনি।
পরে তিনি মল্লিকপুর ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যান। এসময় সেনাপ্রধানকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করা হয়। সেখানে শেখ রাসেল
ডিজিটাল ল্যাবের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন এবং সেনাপ্রধানের পিতার নামে বীরমুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মোঃ রোকন উদ্দিন আহমেদ ভবনের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন শেষে
তিনি বিদ্যালয় চত্বরে একটি গাছের চারা রোপন করেন। এরপর তিনি বিদ্যালয় মাঠে বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষের এবং লোহাগড়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে সুধী
সমাবেশে বক্তব্য দেন। বক্তব্যকালে ছেলেবেলার স্মৃতিচারণ করে সেনাপ্রধান বলেন, করফা গ্রাম আমার পৈত্রিক ভিটা। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এখানে আমি ছিলাম। স্বাধীনতা যুদ্ধে আমার বাবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এই এলাকা আগের থেকে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। এই আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমান সংষদ সদস্য মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। সব মিলিয়ে নড়াইলের আরো উন্নয়ন হবে।
এসব কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন-সেনাপ্রধানের স্ত্রীসহ সেনাবাহিনীর উর্ধতন কর্মকর্তারা, নড়াইল জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। এর আগে সেনা প্রধান পদ্মাসেতু ও ছয়লেনের মধুমতি সেতু হয়ে প্রথমে লোহাগড়া মধুমতি আর্মিক্যাম্পে আসেন এবং রেল সংযোগ নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন। এদিকে, নড়াইলের করফা গ্রামের সন্তান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম
শফিউদ্দিন আহমেদের আগমনে আনন্দিত নড়াইলবাসী। সেনাপ্রধানকে এক নজর দেখার জন্য ভিড় করেন গ্রামবাসীসহ বিভিন্ন পেশার হাজারো মানুষ।
নড়াইলের করফা গ্রামের সন্তান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ ২০২১ সালের ২৪ জুন তিন বছরের জন্য সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ পান।