২৬ জুন কুমিল্লা জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি: চট্ট-২০২৬) এর নির্বাচন
শান্তনু হাসান খান।।
দীর্ঘ ৯ বছর পর কুমিল্লার পরিবহন সেক্টরের নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে “কুমিল্লা জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি: চট্ট-২০২৬)” এর নির্বাচনের মধ্য দিয়ে পরিবহন সেক্টরে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষে আগামী ২৬ জুন সকাল বিকাল পর্যন্ত ৫১২২ জন ভোটার শ্রমিকগণ তাদের পছন্দের নেতৃত্বকে খুঁজে বের করবেন। এতে কার্যকরি পরিষদের সভাপতি ৩ জন, সাধারণ সম্পাদক ২ জন এবং কার্যকরি সদস্য ৩০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মাঝে ১জন সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে আছেন। সুষ্ঠু নির্বাচন প্রত্যাশা করেন সবাই।
এ প্রসঙ্গে সভাপতি প্রার্থীমোহাম্মদ আলী বলেন, নির্বাচিত হলে শ্রমিকদের স্বার্থ নিয়ে অতীতে যেমন তাদের পাশে ছিলাম, আগামীতেও থাকবো ইনশাল্লাহ। আর সাধারণ সম্পাদক পদে ২জন কাজী মোতাহার হোসেন ও কামাল হোসেন খন্দকার মাঠে আছেন তাদের নিজ নিজ অস্তিত্ব নিয়ে।
কাজী মোতাহার হোসেন দীর্ঘ ৩৯ বছরের বেশি সময় পরিবহন সেক্টরে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। তিনি ফেডারেশনের এক সময়কার সাংগঠনিক সম্পাদক এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এদিকে কুমিল্লা পরিবহন সেক্টরে তার সুনামের কারণে তিনি বার বার সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত আসছেন-শ্রমিকদের ভোটে। আগামীতেও বিপুল ভোটে জয়লাভ করবেন বলে অনেকের প্রত্যাশা।
অপর প্রার্থী কামাল হোসেন খন্দকার তিনিও দীর্ঘদিন শ্রমিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত। তিনি বলেন নির্বাচিত হলে টার্মিনাল বর্ধিতকরণ, শ্রমিকদের স্বার্থ নিয়ে মালিক পক্ষের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করে যাবো। এছাড়া শ্রমিকদের কার্ড রিনিউ সহ তাদের সুখ দু:খের বিষয়টি নজরে আনার চেষ্টা করবো।
এদিকে সভাপতি জামাল উদ্দিন ছাতা মার্কায় নির্বাচনের মাঠে আছেন। তার পাশাপাশি আজাদ মিয়া চেয়ার প্রতীকে লড়বেন। তবে তাদের গ্রহণযোগ্যতা খুব একটা নেই বলেই চলে। বরং মোহাম্মদ আলী শ্রমিকদের পছন্দের তালিকায় রয়েছেন সবার আগে। তিনি বলেন, পরিবহন সেক্টরের সকল সমস্যা নিরসন করা সহ শহরের যানজটে ট্রাফিককে সহযোগিতা করে যাবো।
এ প্রসঙ্গে কাজী মোতাহার হোসেন বলেন, আমি দীর্ঘদিন কুমিলায় থেকে এ জেলার ১৫ হাজার শ্রমিকদের স্বার্থ নিয়ে সবসময় তাদের পাশে ছিলাম, এখনও আছি আগামীতেও থাকবো ইনশালাহ। আমি যতদিন দায়িত্ব পালন করেছি এতে প্রায় ৭৭ লক্ষ টাকা শ্রমিক কল্যাণে ব্যয় করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রায় ৮০ লক্ষ টাকার বিভিন্ন সময়ে ঔষধপত্র বাবদ ব্যয় করা হয়েছে। এছাড়াও বেশ কিছু মসজিদে নিয়মিত অনুদান প্রদান করা হয়ে থাকে। আগামীতে ট্রমা সেন্টারগুলোতে যাতে আমার পরিবহন শ্রমিকরা খুব দ্রুত সেবা পায় সে প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
এদিকে জাঙ্গালিয়াস্থ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের আশ-পাশের হরেক রকম পোস্টার, ফেস্টুন ও ব্যানারে সয়লাব। শ্রমিকদের উৎসবের মধ্য দিয়ে ২৬ তারিখ নির্বাচিত হবেন একজন সভাপতি, একজন সাধারণ সম্পাদকসহ ২৯ জন কার্যকরি পরিষদের বিভিন্ন পদের সদস্য। সবাই অত্যান্ত শান্তিপূর্ণ এবং সংশয়মুক্ত একটি নির্বাচন প্রত্যাশা করেন। এদিকে মোহাম্মদ আলী দোয়াত কলম, কাজী মোতাহার হোসেন গোলাফ ফুল ও কামাল হোসেন খন্দকার আনারস প্রতীক নিয়ে লড়ছেন।