দেশের প্রতিটি জেলার ২০১৮ সালে নির্ধারিত আসন সংখ্যা অপরিবর্তিত রেখে ৩০০ আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।
প্রাথমিকভাবে ঘোষিত তালিকায় উপজেলা ও সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ডের যথাসম্ভব অখণ্ডতা বজায় রাখা হয়েছে। তবে তালিকা নিয়ে কারও আপত্তি বা মতামত থাকলে আগামী ১৯ মার্চের মধ্যে আবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তালিকা নিয়ে আপত্তি বা মতামত কোন পদ্ধতিতে দেওয়া যাবে তাও উল্লেখ করা হয়েছে ইসির বিজ্ঞপ্তিতে।
নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১১৯-এর দফা (১) এর উপ-দফা (গ) এবং জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন, ২০২১-এর ধারা ৮-এর উপধারা (১)(খ) অনুযায়ী জাতীয় সংসদ সদস্যের নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে এলাকাভিত্তিক নির্বাচনী এলাকাগুলোর সীমানা আইনের ধারা ৬-এর উপধারা (২) অনুসারে প্রশাসনিক সুবিধা, আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং জনসংখ্যার বাস্তব বিভাজনকে যতদূর সম্ভব বিবেচনায় রেখে প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকার সীমানা পুনঃনির্ধারণ করে ধারা ৬-এর উপধারা (৩) অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন একটি প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করছে এবং তালিকাটি সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দাদের থেকে লিখিত দাবি, আপত্তি, সুপারিশ, অথবা মতামত আহ্বান করছে।
এতে সীমানা পুনর্নির্ধারণে কোন পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে তাও উল্লেখ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে-
(ক) জেলাগুলোর ২০১৮ সালে নির্ধারিত মোট আসন সংখ্যা অপরিবর্তিত।
(খ) প্রশাসনিক ইউনিট বিশেষ করে উপজেলা এবং সিটি করপোরেশন ওয়ার্ডের যথাসম্ভব অখণ্ডতা বজায় রাখা হয়েছে।
(গ) ইউনিয়ন বা পৌর এলাকায় ওয়ার্ড একাধিক সংসদীয় আসনে বিভাজন না করা।
(ঘ) যে সব নতুন প্রশাসনিক এলাকা সৃষ্টি, সম্প্রসারণ বা বিলুপ্ত হয়েছে তা অন্তর্ভুক্ত করা। এবং
(ঙ) ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থা যথাযথ বিবেচনায় রাখা।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কোনো সংক্ষুদ্ধ কিংবা স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আগামী ১৯ মার্চের মধ্যে কোনো আসনের পুনঃনির্ধারিত নির্বাচনী এলাকার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন বরাবর লিখিত দাবি, আপত্তি, সুপারিশ কিংবা মতামত দেতে পারবেন। তবে তা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত কোনো আসনের সীমানা সংক্রান্ত হতে হবে এবং এ সংক্রান্ত দরখাস্ত দাখিল করতে হবে। নির্ধারিত তারিখের পর কোনো দরখাস্ত গ্রহণ করা হবে না।
এতে বলা হয়, নির্বাচন কমিশন সব মতামত প্রকাশ্য শুনানির মাধ্যমে নিষ্পত্তি করবে। শুনানির বিস্তারিত কর্মসূচি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে যথাসময়ে জানানো হবে।