প্রতিবছর বাড়ছে মেলার পরিধি, বাড়ছে স্টল-প্যাভিলিয়নের সংখ্যা বাড়ছে। বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গণ ছাড়িয়ে বিস্তৃত হয়েছে বই মেলার পরিসর। তবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে পাঠক দর্শনার্থীর উপচেপড়া ভিড় থাকলেও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গন অনেকটাই প্রাণহীন।
১৯৭২ সালে চিত্তরঞ্জন সাহা মাত্র ৩২ টি বই নিয়ে বাংলা একাডেমীর বর্ধমান হাউজ প্রাঙ্গণে শুরু করেন বই মেলা। সময় পক্রিমায় সেই মেলা হয়ে ওঠে বাঙালির গৌরব ও প্রাণের মেলা।
২০১৪ সালের আগে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণেই সীমাবদ্ধ ছিল, কিন্তু প্রকাশক ও পাঠক দর্শনার্থীদের কথা বিবেচনা করে বাড়ানো হয়েছে মেলার ব্যাপ্তি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাঠক দর্শনার্থীদের ভিড় লেগে থাকলেও নিষ্প্রাণ বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে মুলত সরকারি ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এসব স্টল প্যাভিলিয়নে ভাল মানের বই থাকলেও পাঠক সমাগম নেই বললেই চলে।
একাডেমি প্রাঙ্গণে পাঠক দর্শনার্থী না থাকায় হতাশ প্রকাশক ও মেলা সংশ্লিস্টরা। এদিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশ সব সময়ই প্রাণ চঞ্চল। পাঠক দর্শনার্থী, লেখক ও প্রকাশকরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
অনেক স্টলের সামনেই বিশিষ্টজনের উপস্থিতিতে বইয়ের মোড়ক উন্মোচন হচ্ছে। স্টলে বসেই পাঠকদের অটোগ্রাফ দিয়ে বই তুলে দিচ্ছেন লেখকরা। ২৩তম দিনে ৭৮টি সহ এ পর্যন্ত মোট ২৪২৬ টি বই এসেছে এবারের মেলায়।
শান্ত/অননিউজ