৬ মাসের জন্য বিচারিক ক্ষমতা হারালেন গোপালগঞ্জের এসিল্যান্ড
অনলাইন ডেস্ক।।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (এসিল্যান্ড) মো. মামুন খানকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা থেকে ছয় মাস বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নিজরা গ্রামের বাসিন্দা লিটন মণ্ডলকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন আদালত।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে এদিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শরিফ আহমদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এমএমজি সারোয়ার পায়েল।
আইনজীবী অ্যাডভোকেট শরিফ আহমদ গণমাধ্যমকে জানান, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নিজরা গ্রামের অধিবাসী লিটন মণ্ডল তার ড্রেজিং মেশিন দিয়ে স্থানীয়দের জমি ভরাটের কাজ করে আসছিলেন। গত ১০ সেপ্টেম্বর সদর উপজেলার এসিল্যান্ড মো. মামুন খান তার ড্রেজিং মেশিন জব্দ করে নিয়ে আসেন।
পরে লিটন মণ্ডল এসিল্যান্ডের কার্যালয়ে গেলে মো. মামুন খান ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে ১ লাখ টাকা জরিমানার সাজা দেন। এছাড়া ড্রেজিং মেশিনের সঙ্গে জব্দ করে আনা পাইপগুলো ভেঙে ফেলেন এসিল্যান্ড। পরে এসব জব্দ করা মালামাল এসিল্যান্ড অফিসের ফেসবুক পেইজেও আপলোড করেন তিনি।
এর পর গত অক্টোবরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অফিসে ডেকে জরিমানা করার বৈধতা চ্যালেঞ্জ ও মামুন খানের অভিযান পরিচালনার ক্ষমতা স্থগিত চেয়ে রিট করা হয়।