চাঁদপুরে ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ৬ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, কেন্দ্রটি সংস্কারে অক্টোবর নাগাদ বিদেশ থেকে মালামাল আসতে পারে। আর এর ওপরই নির্ভর করছে কেন্দ্রটি সচল হওয়ার সম্ভাবনা।
প্রায় ১১শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় চাঁদপুর ১৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্র। ২০১২ সালে এটি উৎপাদনে যায়। কিন্তু যান্ত্রিকত্রুটির কারণে গত ৬ ডিসেম্বর থেকে কেন্দ্রটি বন্ধ।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির কর্মকর্তারা জানান, বিপিসি’র গ্যাস প্রেসারের বুস্টার নষ্ট হয়ে আছে, এজন্যে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে আছে। অন্য জায়গা থেকে আরও দক্ষ শ্রমিক আনা হয়েছিল কিন্তু অনেক চেষ্টা করার পরও চালানোর মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি করা যায়নি। বিদেশ থেকে পার্স আনতে হবে, দেশিয় পার্স হলে হবে না। সেটা না আসা পর্যন্ত আমরা আর কিছু করতে পারছিনা। দেশীয় প্রকৌশলীরা মেরামতের চেষ্টা করেছেন, তবে সম্ভব হননি। কেন্দ্রটি সচল করতে কিছু যন্ত্রাংশ আমদানির প্রক্রিয়া চলছে জানালেন কর্মকর্তারা।
চাঁদপুর ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক নুরুল আবছার বলেন, “যন্ত্রপাতি আনার জন্য সময় লাগবে, যেহেতু বিদেশি মালামাল। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবর নাগাদ মালামালগুলো হয়তো আমরা হাতে পাবো। পেলে ১০-১৫ দিনের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালুর সুযোগ হবে।” গ্যাসের চাপ কম থাকায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে সমস্যা দেখা দেয়। আর এটি বন্ধ থাকায় বেড়েছে লোডশেডিংও। তবে আগামী বছর থেকে চাঁদপুরে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের কথা জানিয়েছেন পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক।
পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, “নিজস্ব গ্যাস যেহেতু কমে যাচ্ছে সেজন্য আমরা যতো অপস্ট্রুমে আসছি ততোই গ্যাসের প্রেসার কমে যাচ্ছে। সেজন্যে চাঁদপুরে ১৫০ মেগাওয়াট কেন্দ্রে গ্যাস বুস্টার না লাগালে প্রেসারটা পাওয়া যায়না। ফলে উৎপাদন করা যাচ্ছেনা।” পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির তথ্য মতে, চাঁদপুরে বিদ্যুতের চাহিদা কমপক্ষে ১৮৫ মেগাওয়াট। কিন্তু এই মুহূর্তে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ মিলছে না।
এসকেডি/অননিউজ