সফরের টেস্ট সিরিজে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পায়নি শ্রীলঙ্কা। আর তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের আগে কঠিন সমীকরণ নিয়ে মাঠে নেমেছিল সফরকারীরা। চলতি বছরের শেষ দিকে ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠেয় ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা করে নেওয়ার জন্য কিউইদের সঙ্গে ৩-০ ব্যবধানেই সিরিজ জিততে হতো শ্রীলঙ্কার। কিন্তু এই কঠিন সমীকরণে খেলতে নেমে উল্টো লজ্জার রেকর্ডবইয়ে নাম লিখিয়েছে লঙ্কানরা। ২৭৫ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৭৬ রানে অল-আউট হয়ে গেছে শ্রীলঙ্কা। এর ফলে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১৯৮ রানের জয়ে ১-০ তে এগিয়ে গেল টম ল্যাথামের দল।
এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় ওয়ানডেতে একশোর নিচে গুটিয়ে যাওয়ার নজির গড়ল লঙ্কানরা। এর আগে ভারতের সঙ্গে সর্বশেষ ওয়ানডেতে মাত্র ৭৩ রানে অল-আউট হয়েছিল দিমুথ করুনারত্নের দল। এর ফলে দ্বিতীয়বারের মতো টানা দুই ওয়ানডেতে একশোর নিচে অল-আউট হওয়ার ঘটনা দেখলো ক্রিকেটবিশ্ব। এর আগে, ২০১৩ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে পরপর দুই ওয়ানডেতে ৮৯ এবং ৯৩ রানে অল-আউট হয়ে গিয়েছিল কেনিয়া।
অকল্যান্ডে টস জিতে কিউইদের শুরুতে ব্যাটিংয়ে পাঠায় শ্রীলঙ্কা। নির্ধারিত ৫০ ওভারের তিন বল বাকি থাকতেই ২৭৪ রানে থামে স্বাগতিকদের ইনিংস। কিউইদের হয়ে সর্বোচ্চ ৫১ রানের ইনিংস খেলেন ওপেনার ফিন অ্যালেন। এ ছাড়া ড্যারিল মিচেলের ৪৭ এবং রাচিন রবীন্দ্রের ৪৯ রানের সুবাদে এই সংগ্রহ দাঁড় করায় কিউইরা।
লঙ্কানদের হয়ে ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে চামিকা করুনারত্নে ৪টি, কাসুন রাজিথা ও লাহিরু কুমারা দুটি এবং দাসুন শানাকা ও দিলশান মদুশাঙ্কা একটি করে উইকেট নিয়েছেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে শ্রীলঙ্কা। দলীয় ১৪ রানেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান দুই ওপেনার। এরপর ২০ রানে কুশল মেন্ডিস ফিরলে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পরে সফরকারীরা। এরপর ক্রমেই উইকেট হারাতে থাকে দলটি।
শ্রীলঙ্কার হয়ে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস সর্বোচ্চ ১৮ রানের ইনিংস খেলেন। এ ছাড়া চামিকা করুনারত্নে ১১ এবং লাহিরু কুমারা ১০ রান করেন। কিউইদের হয়ে ডানহাতি পেসার হেনরি শিপলি পাঁচটি, ড্যারিল মিচেল ও ব্লাইয়ার টিকনার দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।
ফরহাদ/অননিউজ