৯ বছর পর মুরাদনগর উপজেলা আ’লীগের সম্মেলন কাল
সাজ্জাদ হোসেন, মুরাদনগর।।
দীর্ঘ সাড়ে ৯ বছর পর কাল ১৫ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর এ সম্মেলন ঘিরে দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে চলছে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা। সম্মেলন সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি হাতে নেওয়া হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ৩১ মে মুরাদনগর উপজলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দলীয় গঠনতন্ত্র অনুসারে তিন বছর পর পর সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও নানা কারণে সম্ভব হয়নি। অবশেষে জাতীয় নির্বাচনের এক বছর আগেই বৃহস্পতিবার মুরাদনগর ডি আর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, আওয়ামীলীগ কেন্দ্রিয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) ও জাতীয় সংসদের হুইফ আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি। সভাপতিত্ব করবেন, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি আলহাজ¦ ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন এমপি। বিশেষ অতিথি থাকবেন, আওয়ামীলীগ কেন্দ্রিয় কমিটির কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন নাহার লাইলী, আওয়ামীলীগ কেন্দ্রিয় কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, আওয়ামীলীগ কেন্দ্রিয় কমিটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী। সম্মেলন উদ্বোধন করবেন, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ম. রুহুল আমিন। প্রধান বক্তা থাকবেন, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রোশন আলী মাস্টার।
সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ¦ হারুন আল-রশীদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কুমিল্লা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হানিফ সরকার সভাপতি এবং কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সদস্য সচিব ও উপজেলা চেয়ারম্যান ড. আহসানুল আলম সরকার কিশোর, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ তমাল, কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক ও কোম্পানীগঞ্জ বদিউল আলম কলেজের সাবেক ভিপি গোলাম সারওয়ার চিনু ও জেলা কমিটির সদস্য নবীপুর পশ্চিম ইউপি চেয়ারম্যান ভিপি জাকির হোসেন সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হবে বলে লোকমুখে শোনা যাচ্ছে।
সভাপতি প্রার্থী আলহাজ হারুন আল-রশীদ বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে হামলা-মামলা সহ্য করে দলের জন্য নিঃস্বার্থ ভাবে কাজ করেছি। সৎ ও নিষ্ঠার সাথে উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছি। তবে কেন্দ্রিয় নেতৃবৃন্দ যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেই সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া হবে।
অপর সভাপতি প্রার্থী এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ বলেন, ১৯৮৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর থেকে ২০১৩ সালের ৩১ মে পর্যন্ত দীর্ঘ ২৯ বছর আমি সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করি। এবার আমি সভাপতি প্রার্থী। সম্মেলনে কেন্দ্রিয় নেতৃবৃন্দ যে সিদ্ধান্ত নিবে, সে সিদ্ধান্তই আমি মাথা পেতে নিব।
সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ড. আহসানুল আলম সরকার কিশোর বলেন, দীর্ঘদিনের কাঙ্খিত সম্মেলনের ফলে আওয়ামী পরিবারে আনন্দ বিরাজ করছে। আশা করি কেন্দ্রিয় নেতৃবৃন্দ নবীন, প্রবীন ও তরুন সমন্বয়ে একটি দৃষ্টান্তমূলক কমিটি উপহার দিবেন।
অপর সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী গোলাম সারওয়ার চিনু বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃণমূলের নেতা–-কর্মীদের ভোটের মাধ্যমে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলে সংগঠন শক্তিশালী হবে। পাশাপাশি দলের জন্য কাজ করা যোগ্যদের মূল্যায়ন হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে ৩১ মে আলহাজ¦ হারুন আল রশীদকে সভাপতি এবং প্রয়াত মহিউদ্দিন সরকারকে সাধারণ সম্পাদক করে ৭১ সদস্যবিশিষ্ট মুরাদনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।