ঈদ শপিংয়ে মানতে হবে যেসব সতর্কতা
পবিত্র রমজান মাস শেষেই ঈদ। নতুন জামা-কাপড়, ঘরকে নতুন করে সাজানোর নানা আয়োজন থাকে ঈদকে ঘিরে। পরিবারের সবার জন্য নতুন জামা কিনতে শপিং মলে যেতেই হচ্ছে। তাই বিশেষ কিছু বিষয়ে সতর্কতা মেনে নিরাপদে শপিং করুন। মনে রাখা ভালো, করোনা সংক্রমণ কমে গেলেও তা পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় হয়নি। তাই কিছু সতর্কতা মেনে কেনাকাটা করুন।
ঈদ শপিংয়ে মানবেন যে সতর্কতাগুলো-
বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে মাস্ক পরুন এবং তা একমুহূর্তের জন্যও খুলবেন না। শপিংমলে থাকার পুরো সময়টা মাস্ক পরেই কাটান।
শপিং মলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা কষ্টকর। তবু নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সামাজিক দূরত্বের বিষয়টি খেয়াল রাখুন। ভিড় এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজনে বড় শপিং মলে যাবেন। যেখানে খুব সহজেই প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো কিনে নিতে পারবেন।
অযথা ঘুরে বেড়াবেন না, কী কী কিনবেন তা তালিকা করে রাখুন। কেনাকাটায় সুবিধা হবে। প্রয়োজনীয় জিনিসটি কিনেই বাড়ি ফিরে যান।
গরমে শপিংয়ে যাচ্ছেন। তাই ছাতা সঙ্গে নিন।
শপিং মলে লিফটের বাটনে, সিঁড়ির হাতলে কিংবা দোকানের দরজায় হাত রাখবেন না। দোকানের সিটেও বসার প্রয়োজন নেই। দাঁড়িয়েই কেনাকাটা সারুন। সতর্ক থাকুন যত কম সম্ভব সবকিছু স্পর্শ করুন।
দোকানগুলোতে ঝোলানো পোশাকগুলোতে হাত না দেওয়াই ভালো। অনেকেই সেখানে হাত দিয়ে স্পর্শ করেন। ভুলবশত আপনিও হাত দিয়ে দিলে তা দ্রুত ভালোভাবে স্যানিটাইজ করুন।
শপিং মলের লিফট ব্যবহার করবেন না। এসকেলেটর বা সিঁড়ি ব্যবহার করুন।
পরিবারের বাচ্চাদের নিয়ে শপিং মলে না যাওয়াই ভালো। অল্পসংখ্যক মানুষ যাবেন এবং দ্রুত কাজ সেরে চলে আসবেন।
বিল পরিশোধের পর দোকানদারের দেওয়া টাকা হাত দিয়ে স্পর্শ করবেন না। প্রয়োজনে একটি ব্যাগ রাখুন যেখানে টাকাগুলো আলাদাভাবে রাখা যায়।
শপিংমলে গ্লাভস ব্যবহার করুন। যেকোনো স্থানেই গ্লাভস ব্যবহার করা উচিত। এতে হাত সুরক্ষিত থাকে। গ্লাভস পরলে শুধু আপনি সুরক্ষিত থাকবেন তা নয়, অন্যরাও সুরক্ষিত হবেন।
অবশ্যই হ্যান্ড স্যানিটাইজার সঙ্গে রাখবেন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর পর স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।
বাইরে থেকে বাড়িতে ফিরে কোনো কিছু স্পর্শ করবেন না। সরাসরি বাথরুমে যাবেন। গোসল দেবেন। কাপড়গুলো ভালোভাবে ডিটারজেন্টে ভিজিয়ে ধুয়ে নেবেন। এরপর রোদে শুকিয়ে নেবেন।
শান্ত/অননিউজ