রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে নৌকার প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপির সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে এলাকা রণক্ষেত্রে পরিনত হয়। সংঘর্ষে চারজন পুলশ সদস্যসহ উভয় পক্ষের অন্তত: অর্ধশত নেতা-কর্মী ও সমর্থক আহত হয়েছেন। এ সময় আফজাল হোসেন ও সুলতান মাহমুদ সহ ৪ জনকে পুলিশ আটক করেছে। রোববার সন্ধ্যায় গণিপুর ইউনিয়নের মাদারীগঞ্জ বাজারে এই ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে আ.লীগের মোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ অভিযোগ করে বলেন, ৭ জানুয়ারীর অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপির লোকজন কাঁচি প্রতীকের মিছিলের নামে মাদারীগঞ্জ বাজারে গিয়ে নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী অফিসে হামলা চালাই। এতে তার অন্তত: ২০ জন কর্মী ও সমর্থক আহত হয়েছে।
অপরদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপি অভিযোগ করেন, মাদারীগঞ্জ বাজারে তার কাঁচি প্রতীকের মিছিলে নৌকার প্রার্থী আবুল কালামের লোকজন বৃষ্টির মত ইটপাটকেল ছুড়ে। এতে তিনি আহত হন। এছাড়া চারজন পুলিশ সদস্য সহ তার অন্তত: অর্ধশত মিছিলকারী আহত হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। আহতদের মধ্যে মিঠু, শাহাদত হোসেন, আশরাফুল ইসলাম, আবু বাক্কার সিদ্দিক, এনামুল হক, আজাদ, মাসুদ রানা, মিজানুর রহমান, আতিক বাশার সবুজ, নাইম, হৃদয়, ফায়সাল, তানভির, আব্দুর রশিদ, জাহাঙ্গীর আলম, আবু সাইদ, মেহের আলী, সোলাইমান আলী, মরিয়ম বেগম, আবেদ বিবি, জাহানারা বেগম ও ছবেদা বেগমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৯ জনের অবস্থা বেগতিক হওয়ায় রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এদিকে নৌকার প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের সমর্থকদের হামলা, মারপিট ও নির্বাচনী অফিস ভাংচুরের প্রতিবাদে এবং সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টির দাবিতে সন্ধ্যায় মাদারীগঞ্জ ও মোহনগঞ্জ বাজারে স্বতন্ত্র প্রার্থী এমপি এনামুল হকের কর্মী সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছেন।
থানার ওসি অরবিন্দ সরকার বলেন, সংঘর্ষের খবর পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থলে পুলিশ ও বিজিবি পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করা হয়েছে। সংঘর্ষে চারজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
এফআর/অননিউজ