একের পর এক মনগড়া সিদ্ধান্ত,অদূরদর্শিতা, নানা অনিয়মের পথে পা রেখে বিতর্কের মুখে পড়েছেন কুমিল্লা কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ নার্গিস আক্তার।
অভিযোগ রয়েছে, ২০১৪ সালে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগের পর দীর্ঘ ১০ বছর ধরে নার্গিস আক্তারের ‘একনায়কতন্ত্র’ ডোবাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটিকে। ধরাকে সরা জ্ঞান করে চলেছেন তিনি। কারো সঙ্গে আলোচনা না করেই নিজের সিদ্ধান্ত প্রয়োগে ব্যতিব্যস্ত এই শিক্ষিকা। নিয়োগ বাণিজ্য, কলেজে ভর্তি অনিয়ম, অর্থ আত্মসাৎ, প্রতিষ্ঠানের গাড়ি ক্রয়ে দূনীর্তি, নিজের নামে রেজিস্ট্রেশন, প্রাতিষ্ঠানিক কোন রশিদ ছাড়াই অর্থ আদায় এবং আত্মসাৎ, এক্সট্রা কেয়ারের নামে শিক্ষার্থীদের অর্থ আত্মসাৎ, প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের ব্যক্তিগত কাজে ও বাসার কাজে ব্যবহার, শিক্ষার্থীদের ভর্তির সময় অতিরিক্ত অর্থ আদায়, জরিমানার নামে রিসিট বিহীন টাকা উত্তোলন এবং আত্মসাৎ, নিজের ইচ্ছেমত শিক্ষক,কর্মকর্তা -কর্মচারীদের ইনক্রিমেন্ট সহ সুযোগ-সুবিধা কর্তন, শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট দিতে রশিদবিহীন অর্থ আদায় সহ আরো নানান অনিয়মের অভিযোগ উঠে এসেছে তার বিরুদ্ধে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে কুমিল্লা কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ নার্গিস আক্তারে বিরুদ্ধে একাধিক অভিভাবক ও অত্র কলেজের শিক্ষকদের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে কুমিল্লার জেলা প্রশাসক অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ শামসুল তাবরেজকে তদন্তের নির্দেশনা দেন। কিন্তু তিন মাস পার হলেও এখনো তদন্ত প্রতিবেদন চুড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে পারেনি অতিরিক্ত এ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ।
তদন্ত কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ছামছুল তাবরেজ বলেন, আসলে কলেজটি আমাদের, অধ্যক্ষ বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত চলছে। যেহেতু প্রতিষ্ঠান আমাদের তাই আমরা এই অভিযোগগুলো নিয়ে খুঁটিনাটি যাছাই বাছাই করছি। আরো গভীর তদন্ত করে খুব দ্রুতই তদন্ত রিপোর্ট জমা দিবো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন, নার্গিস আপা শুরু থেকে এই প্রতিষ্ঠানে থাকায়, তিনি বিদ্যালয়ে নিজের একটি একক আধিপত্য বিস্তার করছেন। তার একক সিদ্ধান্তেই চলছে প্রতিষ্ঠানের হরিলুট। তার এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে চাকুরি হারাতে হয় শিক্ষকদের ।
কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক শিক্ষক ফাতিহা বিনতে বশির বলেন, ২০১৭ সালে আমি কলেজে জয়েন করি। আমি ওনার (অধ্যক্ষ ) মতের বিরুদ্ধে গেলাম কোনো, ওনি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমাকে কলেজের চাকুরি ছাড়তে বাধ্য করেছেন।
নিয়োগ বানিজ্য-নিয়োগে অনিয়ম ও আত্নীয়করণঃ
কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক পদে তার এক বোন তাজিন হক ও ইংরেজী বিভাগে আরেক বোন নাইমা আরিন হক কে নিয়োগ দিয়েছে কোনো প্রকার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই। এছাড়াও, রসায়ন বিভাগের প্রভাষক নাসির হোসেন ও বাংলা বিভাগের প্রভাষক মাসুম মিয়া কেও একই পদ্ধতিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিলো। তাছাড়া, সহকারী শিক্ষক পদে এনামুল হক, অফিস সহকারী পদে সোহেল রানাকেও নিয়োগ দেওয়া হয়েছিলো কোনো প্রকার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই। আবার, অফিসের কর্মচারী নিয়োগেও তার বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির কথা জানা যায়। ড্রাইভার পদে মাহবুব, দারোয়ান নুরুল ইসলাম, অফিস সহায়ক পদে লিটন ও অন্যান্য কর্মচারী পদে সজিব, শাহিনা আক্তার, কামাল হোসেন, বাবুল মিয়া, ইয়াসিন, নাজেরাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এখানেও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও নিয়ম-নীতির ধরা ছোঁয়া ছিল না। জানা যায়, এদের অধিকাংশই অধ্যক্ষ নার্গিস আক্তারের আত্মীয় কিংবা ঘনিষ্ট লোকজন।
এ বিষয়ের নাম না প্রকাশ করার শর্তে বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন, নার্গিস ম্যাডাম নিজের মতো করে তাদেরকে নিয়োগ দিয়ে দিয়েছেন। আমরা এই বিষয়ে কোন নিয়োগ সম্পর্কিত বিজ্ঞপ্তি দেখি নি। এছাড়াও কর্মচারী পদে যাদেরকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তাদের বেশ কয়েকজনকেই আমরা স্কুলে দেখি না। উনি তাদেরকে নিজের বাসায় কাজ করান বলে আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি।
কলেজে ভর্তি অনিয়ম, বিদ্যালয় ফান্ডের অর্থ আত্মসাৎঃ
কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের কলেজ শাখায় বিজ্ঞান বিভাগের ২৫০ টি আসনের বিপরীতে অধ্যক্ষ নার্গিস ভর্তি করান আরো বেশ কিছু অতিরিক্ত শিক্ষার্থী। যাদের রেজিস্ট্রেশন হয় মুন্সি ফারুক আহমেদ কলেজের নামে অল্প টাকার বিনিময়ে। কিন্তু তারা ক্লাস করে কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজে। যে টাকা অতিরিক্ত নেওয়া হয়, সেটি কলেজ ফান্ডে জমা না হয়ে জমা হয় অধ্যক্ষ নার্গিসের ব্যক্তিগত ফান্ডে। এছাড়াও, শিক্ষার্থীদের ব্যাজ ও অন্যান্য সামগ্রী বাবদ যে টাকা নেওয়া হয়, সে টাকা থেকে খরচের অংশ বাদে বাকী অংশ চলে যায় অধ্যক্ষ নার্গিসের ব্যক্তিগত কোষাগারে।
কলেজের ভর্তি কমিটিতে থাকা এক শিক্ষক বলেন, কলেজের আসন সংখ্যার চাইতেও বেশি শিক্ষার্থীকে ভর্তি করাতেন ম্যাডাম । অতিরিক্ত টাকা আদায়ের সময় তিনি আমাকে রশিদ না রাখতে নির্দেশনা দিতেন ।
প্রতিষ্ঠানের গাড়ি ক্রয়ে দূনীর্তি, নিজের নামে রেজিস্ট্রেশনঃ
কুমিল্লা জেলার সাবেক জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান অধ্যক্ষ নার্গিসকে ২০১৮ মডেলের একটি গাড়ি বিদ্যালয়ের নামে ক্রয় করার অনুমতি দেন। কিন্তু অধ্যক্ষ নার্গিস রেজুলেশন মতে গাড়ি না ক্রয় করে পুরাতন ২০১৭ মডেলের গাড়ি ক্রয় করে এবং সেটাকে কাগজে কলমে দেখানো হয় ২০১৮ মডেলের গাড়ি। এখানে গাড়ি ক্রয় বাবদ বাকি অর্থ নিয়ে নেন নিজের ব্যক্তিগত কোষাগারে। এছাড়াও, বিদ্যালয়ের নামে গাড়ি ক্রয়ের অনুমতি দিলেও অধ্যক্ষ নার্গিস সেই গাড়ি নিজের নামে রেজিস্ট্রেশন করে নেন এবং সেটাকে বিদ্যালয়ের কাজের থেকে বেশী নিজের পারিবারিক কাজেই সবসময় ব্যবহার করা হয়।
এ বিষয়ে গাড়ি ক্রয় কমিটির সঙ্গে সম্পৃক্ত শিক্ষক প্রতিবেদককে বলেন, গাড়িটি ২০১৭ মডেলের। গাড়ির শোরুমের সাথে আগে থেকে কথা বলে তিনি ২০১৮ মডেলের জায়গায় ২০১৭ মডেলের গাড়ি ক্রয় করেছেন কিন্তু কাগজে-কলমে সেটাকে ২০১৮ মডেল বানিয়েছেন। বাকি টাকা নিজে কৌশলে হাতিয়ে নিয়েছেন। এছাড়াও গাড়ির রেজিস্ট্রেশনও নিজের নামে করিয়ে নিয়েছেন।
এক্সট্রা কেয়ারের নামে শিক্ষার্থীদের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎঃ
২০২৩ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী প্রায় ৫৬৫ জনের কাছ থেকে 'এক্সট্রা কেয়ার' নামে জনপ্রতি ২০০০-২৫০০ টাকা করে প্রায় লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
এ বিষয়ে নাম না প্রকাশ করার শর্তে কলেজের একাধিক শিক্ষক বলেন, পরীক্ষার আগে শিক্ষার্থীদেরকে এক্সট্রা কেয়ারের নামে কোচিং করানো হয়। আর কোচিং বাবদ লক্ষ লক্ষ টাকা ফি আসে। সেখান থেকে শিক্ষকদেরকে নামমাত্র টাকা দিয়ে বাকি টাকা অধ্যক্ষ নার্গিস নিজের কোষাগারে নিয়ে নেন। এছাড়াও, টিউটোরিয়াল পরীক্ষার কিছু টাকা শিক্ষকদের মধ্যে বন্টন করে বাকি সকল টাকা তিনি আত্মসাৎ করেন।
প্রাতিষ্ঠানিক কোন রশিদ ছাড়াই অর্থ আদায় এবং আত্মসাৎঃ
শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিভিন্ন পরীক্ষার নামে, ক্লাসের পার্টির নামে ও বিবিধ খরচ দেখিয়ে টাকা উঠানো হয়। এবং পরবর্তীতে তা আত্মসাৎ করা হয়। এই বিষয়েও একাধিক শিক্ষক ও অভিভাবক বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে স্কুলের নাম ও অধ্যক্ষ নার্গিসের স্বাক্ষর ছাড়াই, একটি সাদা কাগজে বিভিন্ন ফি বাবদ টাকা উঠিয়ে নেন তিনি।
২০২৩ সালের অত্র কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম হৃদয় বলেন, আমাদের বিভিন্ন পরীক্ষা ফি বাবদ টাকা নিতো, কিন্তু কলেজের থেকে কোনো রসিদ দেয়নি। আমরা কোনো বিষয় ফেল করলে আমাদের কাছ থেকে টাকা নিতো, এগুলোর রশিদ দেয়নি।
প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের ব্যক্তিগত কাজে ও বাসার কাজে ব্যবহারঃ
প্রতিষ্ঠানের তিনজন কর্মচারী হৃদয়, মাহবুব এবং শাহীনা কে কলেজের কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ দিয়েও তিনি তাদেরকে রেখেছেন তার নিজের বাসায় ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করার জন্য। প্রতিষ্ঠানের অনেক শিক্ষক তাদেরকে চেনেও না।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে কালেক্টর স্কুল এন্ড কলেজের একাধিক শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন, নার্গিস ম্যাডাম নিজের বাসার কাজ করানোর জন্য তাদেরকে নিয়োগ দিয়েছিল প্রথমে এটাই ভেবেছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে দেখি যে, তাদেরকে নিয়োগ দেওয়া হয় স্কুল থেকে। এটা খুবই অদ্ভুত লাগলো। আমরা তাদেরকে চিনিও না অথচ তারা অফিসের স্টাফ।
নতুন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে রিসিটের বাহিরে অতিরিক্ত অর্থ আদায় এবং আত্মসাৎঃ
নতুন শিক্ষার্থী ভর্তির সময় অতিরিক্ত পনেরশো টাকা করে নেওয়া হয়। এই ১৫০০ টাকার না থাকে কোন রিসিট বা প্রমাণ। এই টাকা অধ্যক্ষ নার্গিস নিজের কোষাগারেই জমা নেন।
২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষাথী সানভীর সোহাগ বলেন, ভর্তির সময় দেখি আমাদের কাছ থেকে রিসিটের বাইরে অতিরিক্ত পনেরশো টাকা করে নেওয়া হয়। এছাড়া কলেজে শীতের পোশাকের টাকা নিয়ে আমরা কোনো শীতের পোশাক পাইনি।
জরিমানার নামে রিসিট বিহীন টাকা উত্তোলন এবং আত্মসাৎঃ
অনুপস্থিতির জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে স্কুল শাখায় জনপ্রতি ২০ টাকা এবং কলেজ শাখায় জনপ্রতি ৫০ টাকা করে শ্রেণী শিক্ষকদের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করা হয়। পরে এই টাকা অধ্যক্ষ নার্গিস নিজেই আত্মসাৎ করে নেন। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের সনদপত্র দেওয়ার সময় উনি প্রতিজনের কাছ থেকে ২০০ টাকা বা ৫০০ টাকা করে নিতেন এবং এগুলো কখনোই স্কুল ফান্ডে জমা হতো না। এগুলো উনি নিজেই নিয়ে নিতেন।
এ বিষয়ে বেশ কয়েকজন শ্রেণী শিক্ষক বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিপুল অংকের টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। সেগুলো আমরা উত্তোলন করে নার্গিস ম্যাডামের কাছে দিয়ে দেই কিন্তু পরে জানতে পারি সেগুলোর আর কোন হদিশ থাকে না বা কলেজ কোষাগারেও জমা হয় না।
শিক্ষক,কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ইনক্রিমেন্ট সহ সুযোগ-সুবিধা কর্তনঃ অধ্যক্ষ নার্গিস নিজের ইচ্ছে মতই তার অধীনে চাকরি করা শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীদের ইনক্রিমেন্ট সহ সকল সুযোগ সুবিধা থেকে তাদের নাম কেটে দেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী এক শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন, আমাদেরকে কোন প্রকার নোটিশ কিংবা সতর্কতা না করে তিনি আমাদের ইনক্রিমেন্ট সুবিধা থেকে বঞ্চিত করেন।
স্কুল শাখার ভর্তি ফর্ম বাণিজ্য প্রতিবছর স্কুল শাখার শিক্ষার্থীদের ভর্তিফর্ম তিনি ম্যানুয়ালি বিক্রি করেন ২৫০ টাকা করে এবং বিক্রির সম্পূর্ণ টাকা নিজেই আত্মসাৎ করেন।
এ বিষয়ে অত্র বিদ্যালয়ের সহকারি এক শিক্ষক নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, যখনই ভর্তি কার্যক্রম শুরু হতো তখনই তিনি ভর্তি ফরমগুলো নিজেই ম্যানুয়ালি বিক্রি করতেন এবং সেই টাকা কখনো স্কুল ফান্ডে জমা হতো না।
উক্ত অভিযোগগুলোর বিষয়ে, কুমিল্লা কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ নার্সরিন আক্তার বলেন, আমি কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজে সেই শুরু থেকে আছি। আমার নামে আনীত অভিযোগগুলো মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি আমার প্রতিষ্ঠানটিকে শিক্ষার মান উন্নয়ন করে চলেছি। কিভাবে, আমার নামে তারা এমন অভিযোগ তুলতে পারে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ও কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের নব নিযুক্ত পরিচালক ফাহমিদা মুস্তফা বলেন, এই বিষয়ে এখন পর্যন্ত আমার জানা নেই। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে কেউ এখন পর্যন্ত আমাকে কোনো অভিযোগ করে নাই। পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব যেহেতু নিয়েছি, আমি চেষ্টা করবো শিক্ষার গুণগত মান আরো কিভাবে ভাল করা যায়। আর, যে দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগগুলো রয়েছে সেগুলো যাছাইবাছাই করে আমি জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবো