কুড়িগ্রামে মাদক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মাদক দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
শাহীন আহমেদ, কুড়িগ্রাম ।।
কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাটে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের বিরম্নদ্ধে মিথ্যা মামলা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, নির্যাতন ও অর্থ লুটসহ হয়রাণি বন্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে একটি ভুক্তভোগী পরিবার। মঙ্গলবার দুপুরে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবে পরিবারের সদস্যদেরকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন রাজারহাট উপজেলা সদরের মেকুরটারী দালালী পাড়া গ্রামের মৃত: কাশেম আলীর ছেলে জিয়াউর রহমান। সংবাদ সম্মেলনে জিয়াউর রহমানের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শোনান।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জিয়াউর রহমান এক সময় মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন। এনিয়ে তিনটি মামলাসহ জেল খেটেছেন তিনি। এখন ছেলেমেয়েরা বড় হয়ে যাওয়ায় মাদকের পথ থেকে তিনি সড়ে গেছেন। এখন ধানচাষ ও মৎসচাষ করে হালাল উপার্জনের পথ বেঁচে নিয়েছেন। কিন্তু জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিসের কর্মকর্তারা তাকে সুস্থ্যভাবে বেঁচে থাকার সুযোগ দিচ্ছেন না। তারা বিভিন্ন মোবাইলে টাকা দাবী করে আসছেন। নাহলে মাদক দিয়ে মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। সোমবার (২৩ মে) সকালে ফোন করে ২০ হাজার টাকা দাবী করলে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান জিয়াউর রহমান। পরে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ২জন নারীসহ সাদা পোষাকের ১০জন আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য সবাইকে বাড়ী থেকে বের কের দিয়ে ঘরের ভিতর প্রবেশ করে বিছানার নীচে মাদক রেখে অপদস্ত্ম করার চেষ্টা করে। এসময় তার বিছানার নীচে রক্ষিত ২০হাজার টাকা নিয়ে যায়। সংবাদ সম্মেলনে জিয়াউর রহমানের শাশুড়ি স্ত্রী ছেলে ও ভাতিজা সঙ্গে ছিলেন।
বিষয়টি নিয়ে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মো. আবু জাফর জানান, সোমবার সকালে পুলিশসহ ওই বাড়ীতে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। সেখানে ভিডিও ডকুমেন্ট করা হয়েছে। জিয়াউর একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। নিজেকে আড়াল করতে সে এই ধরণের অপচেষ্টা করতে পারে।
এ ব্যাপারে ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আমজাদ হোসেন ও সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য মোছা. রোকেয়া বেগম জানান, জিয়া সুস্থ্য জীবনে ফিরে আসতে চেষ্টা করছে। সে খাল-বিল লিজ নিয়ে মৎসচাষ করছে। জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করছে। তাকে ভাল হওয়ার সুযোগ করে দেয়া উচিৎ বলে তারা জানান।