‘ভেঙ্গে যাওয়া স্বপ্ন জোড়া লাগালেন এমপি ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন’
মো. সাজ্জাদ হোসেন, মুরাদনগর।।
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা সদরের মাওলানা তাজুল ইসলামের স্বপ্ন ছিল টিন কাঠ দিয়ে সুন্দর করে একটি বাড়ি বানিয়ে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বসবাস করার। স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে গত ৪ বছর পূর্বে কাঠ টিন দিয়ে ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করেন। গত এক মাস ধরে তিলে তিলে গড়া ওই ঘরটিতে বসবাস শুরু করেন। কিন্তুু নিয়তির নির্মম পরিহাস স্বপ্নের ঘরে বসবাস করার সুখ সইলনা বেশী দিন। গত ২০ জুন সোমবার সন্ধ্যায় মাওলানা তাজুল ইসলামের বাড়িতে অগ্নিকান্ডে স্বপ্নের ঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে তাদের পরিহিত কাপড় ছাড়া সহায় সম্ভল বলতে আর কিছুই ছিল না। ক্ষতিগ্রস্ত মাওলানা তাজুল ইসলাম তাঁর পোড়া ঘরের দিকে তাকিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে শান্তির দূত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ওই পরিবারটির পাশে দাড়িয়েছেন, এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি আলহাজ¦ ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন এমপি। তিনি মাওলানা তাজুল ইসলামের ভেঙ্গে যাওয়া স্বপ্ন জোড়া লাগাতে এগিয়ে আসেন।
এ বিষয়ে মাওলানা তাজুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি কান্না বিজড়িত কন্ঠে বলেন, আমার স্বপ্ন পুড়ে ছাই হয়ে গেল। ঘটনার সময় ঘরে কেউ ছিল না। আমার মেয়ের ঘরের নাতি অসুস্থ্য হওয়ায় তাকে নিয়ে পরিবারের সবাই হাসপাতাল গিয়েছিল। আমিও ছিলাম আমার কর্মস্থলে। তালাবদ্ধ ঘরে কি ভাবে আগুন লাগলো আমি তা কিছুই জানি না। তিল তিন করে ৪ বছরে আমি টিন কাঠ দিয়ে ঘরটি সাজিয়েছিলাম। এ ভাবে মুহুর্তেই আমার সব শেষ হয়ে যাবে আমি ভাবতেও পারিনি। আমি ভেঙ্গে পড়েছিলাম। কি কবর ভেবে পাচ্ছিলাম না। আমার এই কঠিন সময়ে সংসদ সদস্য আলহাজ¦ ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন আমার পাশে দাঁড়িয়েছে। স্ত্রী, সন্তানদের নিয়ে মাথাগোঁজার জন্য ঘর নির্মাণ করতে আমাকে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা দিয়েছেন এবং বলেছেন, ঘর নির্মাণ করতে যত টাকা লাগবে তিনি তা করে দিবেন। এমপি মহোদয়ের এ ঋণ আমি চিরদিন মনে রাখব।
মুরাদনগর উম্মে সাকিনা মহিলা মাদরাসার পরিচালক মাওলানা আবু ইউসুফ বলেন, ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন এমপি’র ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ঘর নির্মাণ করার জন্য যাবতীয় সামগ্রী আনা হয়েছে। ইতিমধ্যে ঘর তৈরীর কাজ শুরু হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি মাওলানা তাজুল ইসলামের স্বপ্নের ঘরটি ঠিক আগের মতোই তৈরী করা হবে।
মুরাদনগর হিলফুল ফুজুল এতিমখানার পরিচালক মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এমপি ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন এফসিএ’র ব্যক্তিগত তহবিল থেকে মাওলানা তাজুল ইসলামের পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী ও নিত্য প্রয়োজনীয় ব্যবহার সামগ্রী এবং পরিধানের বস্ত্রও কিনে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২০ জুন সোমবার সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৬টায় বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে সূত্রপাত হয়ে মুহুর্তের মধ্যেই মাওলানা তাজুল ইসলামের পুরো ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে প্রায়ই ৩০ মিনিট চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষনেই ঘরে থাকা নগদ ৪০ হাজার টাকা, ২টি ফ্রিজ, ৬টি খাট, সোফাসেট, আলমিরা, সুকেশ, স্বর্ণালংকার ও প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র এবং কাপড়-চোপড়সহ প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।