নবীনগরের কাইতলা ইউপি নির্বাচনে এবার বহুমুখী লড়াই
শান্তনু হাসান খান।।
বর্তমান সিইসির আওতায় দেশে একটি উপজেলা, দুটি পৌরসভা এবং ২৫টি ইউপি নির্বাচন করতে যাচ্ছে আগামী ২৭ জুলাই। এতে কুমিল্লার ১টি, চাঁদপুর মতলবের ১টি, লক্ষীপুরের রামগতির ২টি, সদরের দিঘলীসহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের কাইতলা ইউপি ১টি, শেরপুরের ১টি ইউপি নির্বাচনের জন্য ইতিমধ্যেই নৌকার প্রার্থীতা চূড়ান্ত করা হয়েছে।
আলোচিত নবীনগরের কাইতলা উত্তর ইউনিয়নটি বহু আলোচিত। এখানে নৌকার টিকিটে আবুল খায়ের মুন্সী ছাড়াও অলিউল্লাহ মুন্সী, ইকবাল হোসেন, বোরহান উদ্দিন, বিএনপি’র জসিম উদ্দিন, চরমোনায়েমের ইসলামী ঐক্যফ্রন্টের আল-আমিন এবং আল-ইমরানসহ আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতা মোঃ আফজাল উদ্দিন নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। এদিকে নৌকার বাণিজ্য হয়েছে বলে এলাকার জনগণ অভিমত প্রকাশ করেন। তারা আরো বলেন আওয়ামীলীগের দু:সময়ে যারা দলকে আগলে রেখেছিল তাদেরকে মূল্যায়ন করা হয়নি। বরং ৩৩নং সাধারণ সদস্যকে নৌকার টিকিট প্রদান করা হয়েছে। ফলে হিসেব নিকেশ বদলে যাবে আগামী নির্বাচনে। তবে ভালো অবস্থানে আছেন মোঃ আফজাল উদ্দিন এবং আল ইমরান।
এ প্রসঙ্গে আফজাল বলেন, আমার অতীতের পলিটিক্যাল ক্যারিয়ার আর জনগণ এবং মাটি ও মানুষের সাথে সম্পৃক্ততার বিষয়টি বিবেচনা করে এলাকার জনগণ ইনশালাহ আমাকে নমিনেটেড করবেন বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আর নির্বাচিত হলে আমার এলাকার মাননীয় সাংসদ এবাদুল করিম বুলবুলের দিক নির্দেশনায় এবং জেলার নেতৃবৃন্দের পৃষ্ঠপোষকতায় কাইতলা উত্তর ইউনিয়নকে ঢেলে সাজাবো। পাশাপাশি জননেত্রী শেখ হাসিনার সকল উন্নয়ন কর্মকান্ড অব্যাহত রাখবো। তিনি আরো বলেন, অতীতের মতো গ্রাম্য সালিশ বিচারকে বাণিজ্যিক ভাবে না দেখে সঠিক মূল্যায়নের জন্য নতুন করে মুরব্বীদের নিয়ে এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার চেষ্টা করবো। যাতে আগামীতে কারো পক্ষ পাতিত্ব করা না হয় এখানকার বিচার শালিশীতে। সামাজিক বন্ধনের মধ্য দিয়ে আমি আমার কাইতলার মানুষকে নতুন স্বপ্ন দেখাতে চাইবো।
মোঃ আফজাল উদ্দিন বলেন, আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এখানে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। আর জনগণ যদি ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট প্রয়োগ করতে পারে, তাহলে আমি যেকোন প্রার্থীকে ডিঙিয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করতে পারবো ইনশাল্লাহ।
মোঃ আফজাল উদ্দিন কাইতলা ৪নং ওয়ার্ডের ভোটার। বেড়ে উঠেছেন এ জনপদে। নোয়াগাঁও হাই স্কুলের ছাত্রাবস্থা থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। সে সময় মিছিল মিটিং সমাবেশের মধ্য দিয়ে মোঃ আফজাল উদ্দিন এর উত্থান হয়েছিলো। আর তখনই তিনি ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। পড়াশোনা তিনি ব্রাহ্মণবাড়ীয়া সরকারি কলেজ থেকে শেষ করেন। এরপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। বর্তমানে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, আমি রাজনীতি করি আমার এলাকার জনগণের জন্য। এবার ইনশাল্লাহ জনগণ আমাকে ম্যান্ডেড দিবেন বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে এ ইউনিয়নকে অত্যাধুনিক ও ডিজিটাইলাইজড ইউনিয়ন হিসেবে জনগণকে উপহার দেয়ার চেষ্টা করবো।
৪৫ বছরের মোঃ আফজাল উদ্দিন সারা জীবন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে আওয়ামী রাজনীতি করেছেন। দলের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে কোন রাজনৈতিক বাণিজ্য করেননি। সারা জীবন স্বচ্ছতার মধ্য দিয়ে আওয়ামীলীগের মূল স্রোতেই থেকে গেছেন। আর বর্তমানে তার এলাকার মাননীয় সাংসদ এবাদুল করিম বুলবুল এর দিকনির্দেশনায় এলাকায় রাজনীতি করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন আমি নির্বাচিত হলে ইউনিয়নকে মাদকমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা এবং অত্যাধুনিক ডিজিটালাইজড ইউনিয়ন হিসেবে জনগণকে উপহার দেয়ার চেষ্টা করবো আগামীতে।