ভাঙ্গায় একইদিনে চার ইউনিয়নে পৃথক সংঘর্ষ-বাড়ি-ঘর ভাংচুর,লুটপাটঃ নারীসহ আহত-শতাধিক
ভাঙ্গা(ফরিদপুর)প্রতিনিধি।।
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় একইদিনে চার ইউনিয়নে পৃথক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত দফায় দফায় চলা এ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে বাড়ি-ঘর ব্যাপক ভাংচুর,লুটপাট এবং নারীসহ অন্তত শতাধিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া
গেছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে প্রকাশ, গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বৃহ¯পতিবার সকালে উপজেলার তুজারপুর ইউনিয়নের তুজারপুর,হামিরদী ইউনিয়নের মুনসুরাবাদ,ঘারুয়া ইউনিয়নের গঙ্গাধরদী ও কালামৃধা ইউনিয়নের কালামৃধা গ্রামবাসী তুচ্ছ ঘটনার জেরে সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় বিবাদমান পক্ষরা একে উপরের উপর ঢাল,সরকি,রামদা প্রভৃতি দেশীয় অস্ত্রশস্র নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে। দীর্ঘক্ষণ চলা সংঘর্ষে এলাকায় রনক্ষেত্রে পরিনত হয়। দফায় দফায় চলা সংঘর্ষে উভয় পক্ষের নারী-পুরুষসহ অন্তত শতাধিক আহত হয়।
এ সময় বাড়ি-ঘর,ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়ে ব্যাপক তান্ডব সৃষ্টি করে। বিভিন্ন স্থানে চলা এ সংঘর্ষে আহতদের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলগুলোতে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এসময় বিভিন্ন এলাকা থেকে অপ্রীতিকর ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ১৭ জনকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ জানায় গতকাল উপজেলার তুজারপুর ইউনিয়নের বিকেলের দিকে চলা সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ ২ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে।
ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ সেলিম রেজা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে তুজারপুর গ্রামের সংঘর্ষরত এলাকায় পুলিশ পরিদর্শক(ওসি তদন্ত) আবু তাহেরের নেতৃত্বে একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলা দাঙ্গা পুলিশ ও স্থানীয় পুলিশের একাধীক টিম মাঠে কাজ করছে। সংঘর্ষ এলাকার জনগণের মাঝে এখনও আতঙ্ক বিরাজ করছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায় কয়েকটি জায়গায় থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছে। নারী-পুরূষ দিগিদিক ছুটোছুটি করছে। শাহিন ভুইয়া ও আবজাল ভুইয়ার দুটি দোকান ভাংচুর চালিয়ে ব্যাপক লুটপাট করেছে দুর্বত্তরা। এ সময় পুলিশ পরিদর্শক আবু তাহেরের নেতৃত্বে পুলিশ দুর্বত্তদের ধরার চেষ্টা করছে। এদিকে হামলা ও লুটপাটের আশংকায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।