বিয়ে বাড়িতে কুড়ি টাকা বকশিস দিতে গিয়ে জেলহাজতে বরসহ পাঁচজন
সুভাষ বিশ্বাস নীলফামারী
রবিবার ২১ আগষ্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে বরকে মালা পড়িয়ে বরণ করে কনে পক্ষ। এসময় স্টেজে বরের সাথে বসার যায়গায় বসতে বকশিস দাবী করে কনে পক্ষের লোক। বর পক্ষ ২০টাকা বকশিস দেয়। এতো কম টাকা বকশিস দেওয়ায় কনে পক্ষ নিতে অপারগতা প্রকাশ করে।
বর পক্ষের লোকজন বকশিসের পরিমান বাড়াতে না চাইলে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মারামারিতে রুপ নেয়। দুই পক্ষকে নিয়ে সমঝোতার চেষ্টা করেও সমাধান করা সম্ভব না হলে সোমবার ২২ আগষ্ট ভোর পাঁচটার দিকে আইনের আশ্রয় চাইলে পুলিশ এসে বরসহ পাঁচ বরযাত্রীকে থানায় নিয়ে যায়।
ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উন নবী জানান, বিয়েতে বর ও কনে পক্ষের মধ্যে গন্ডোগোল হলে পাঁচজনকে আটক করা হয়। তাদের সেমাবার বিকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আজিজুল ইসলামের মেয়ে লিমা আক্তারকে বিয়ে করতে আসে পাশবর্তী জলঢাকা উপজেলার ধর্মপাল তহশিলদার পাড়া এলাকার মৃত মজির উদ্দিনের ছেলে রবিউল ইসলাম।
আটককৃতরা হলেন, জলঢাকা উপজেলার ধর্মপাল তহশিলদার পাড়া এলাকার মৃত মজির উদ্দিনের ছেলে বর রবিউল ইসলাম(২৫), তার চাচা মনছুর আলী(৫৫), মনছুর আলীর দুই ছেলে মঞ্জুরুল ইসলাম(২৩) ও আলীমুল ইসলাম(২০) এবং রবিউলের নিকট আত্মীয় পাশবর্তী দেবীগঞ্জ উপজেলার সোনাহার নুল্লা পাড়া এলাকার মৃত জহুর আলীর ছেলে আল আমীন(২৮)।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে হরিণচড়া ইউপি চেয়ারম্যান রাসেল রানা জানান,কনের বাবা আজিজুল ইসলাম অভিযোগ করে জানান, বর পক্ষের লোকজন বিয়েতে এসে গন্ডোগোল ও মারামারি করেছে। আমাদের বাড়িতে এসে যদি তারা এ রকম আচরণ করে। তাহলে তাদের বাড়িতে আমার মেয়ে গেলে তার সাথে আরো খারাপ ব্যবহার করেবে এবং তাকে নির্যাতন করবে বলে আমি মনে করি। তিনি আরো বলেন, বরযাত্রী আসার আগে বর পক্ষ আমার কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা নিয়েছে। বিয়ের আয়োজনে আরো এক লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। আমি গরীব মানুষ। আমার জমানো সব টাকাগুলো শেষ। এখন আমার মেয়েকে নিয়ে কি করবো?
ধর্মপাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু তাহের জানান বর পক্ষ সমঝোতা করে বিয়ে সম্পূর্ণ করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু কনের বাবা রাজি হননি।
এ বিষয়ে ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উন নবী জানান, বিয়েতে বর ও কনে পক্ষের মধ্যে গন্ডোগোল হলে পাঁচজনকে আটক করা হয়। তাদের সেমাবার বিকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে।