তেঁতুলিয়ায় সড়কে যানজট এড়াতে লাঠি হাতে এলাকাবাসী
ডিজার হোসেন বাদশা, পঞ্চগড় প্রতিনিধি।।
পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর এলাকায় মহানড়কে যানজট ও দূর্ঘটনা এড়াতে লাঠি হাতে সড়কে নেমেছে এলাকাবাসী। প্রায় ১ ঘন্টায় ৫ কিলোমিটার এলাকায় সড়কে বিশৃঙ্খলা ভাবে দাঁড়িয়ে থাকা যানবাহনগুলোকে নিয়ন্ত্রনে আনে তারা। শনিবার (২ অক্টোবর) রাতে তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়নে বাংলাবন্ধা বন্দর এলাকা থেকে সিপাইপাড়া পর্যন্ত সড়কের দুই ধারে দাঁড়িয়ে থাকা অসংখ্য যানবাহনকে এক লাইনে আনতে এই উদ্যোগ গ্রহণ করে স্থানীয়রা। রাত ৮ টা থেকে স্থানীয়দের শুরু হওয়া এই অভিযান চলে প্রায় এক ঘন্টা। দিনভর মহাসড়কে ট্রাকের লম্বাসারির কারনে প্রতিনিয়ত ঘটে চলছি ছোট-বড় দুর্ঘটনা বলে বিক্ষুব্ধরা জানায়।
আরো জানা যায়, যানজটের কারণে শনিবার (২ অক্টোবর) বিকেলে বন্দর সংশ্লিষ্ট এলাকার পাগলী ডাংগি এলাকায় পাথরবোঝাই একটি ট্রাকের চাপায় সাদেকুল সোহান (১২) নামে এক শিশু নিহত হওয়ার পর থেকে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন স্থানীয়রা। আর এতে করে ক্ষিপ্ত হয়ে যানজট নিরসনের পাশাপাশি দুর্ঘটনা এড়াতে মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে লাঠি হাতে রাস্তায় নেমে পড়ে এলাকাবাসীরা। এ সময় ১০/১৫ টি ট্রাক বিক্ষুব্ধ জনতা ভাংচুর করলেও কোনো চালক ভাংচুরের অভিযোগ করেনি। সাম্প্রতিক সময়ে পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ যানজটে নাকাল হয়ে এই উদ্দোগ গ্রহণ করে তারা।
এদিকে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, সড়কের দু’ধারে দীর্ঘ সময় ধরে ট্রাক দারিয়ে থাকার কারনে দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। একই সাথে যানজট নিরসনে জেলা, উপজেলা, ট্রাফিক বিভাগ ও হাইয়ে পুলিশের কোনো তদারকিও নেই। যা প্রশাসন ও বন্দর কর্তৃপক্ষের করার কথা ছিল তা আমরা এক ঘন্টায় সমাধান করেছি। আশা করি এখন থেকে শৃঙ্খলা ভাবে যানবাহনগুলো রাস্তায় থাকবে। তবে আমরা যতটুকু পারছি চেষ্টা করছি, এখানে প্রশাসনের একটু নজর দেয়া দরকার। বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল হাসান মারুফ জানান, বন্দর সংশ্লিষ্ট ট্রাকগুলো রাস্তার দুই ধারে এলোমেলো থাকায় বিভিন্ন যানবাহন চলাচলে খুবই সমস্যা হচ্ছিল। এর কারনে মাঝে মধ্যেই ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটে। তাই আমরা ছাত্রলীগের কর্মীরা একত্রিত হয়ে স্থানীয়দের নিয়ে সড়কের দুই সাইডের ট্রাকগুলোকে এক লাইনে আনার জন্য এই উদ্যোগ গ্রহণ করি।
দেখা গেছে, বাংলাবান্ধা বন্দর এলাকা থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকায় সড়কে বিশৃঙ্খলা ভাবে দাঁড়িয়ে থাকা যানবাহনগুলোকে ১ ঘন্টায় নিয়ন্ত্রনে আনে লোক জনেরা। এসময় বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে। তবে স্থানীয় জনতার সাথে আরো যুক্ত হয় যুবলীগ ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নির্দেশে গ্রাম পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। এদিকে একই ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন রানা জানান, বন্দরের গাড়িগুলো রাস্তার উপর এমন ভাবে রাখে যে অন্য আরেকটি গাড়ি যেতে পারে না। বা সামনে কোনো যানবাহন বা কেউ আছে কিনা তা দেখাও যায় না। যার ফলে দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে। করে আর কোন মায়ের কোল খালি যেন না হয় তাই স্থানীয়রা মিলে আমরা সব গাড়ি এক লেনে নিয়ে আসি। দীর্ঘদিনের যানজট এক ঘণ্টার নিরসন করতে সক্ষম হই আমরা। আশাকরি প্রশাসন সহ বন্দর কর্তৃপক্ষ সড়কে দুর্ঘটনা এড়াতে যানবাহনের যানজট নিরসনে জরুরি কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
সুমন,অননিউজ24।।