‘অ্যান্টি-এজিং সিরাম’ বাড়িতেই তৈরি করবেন কী ভাবে
বাজারে তো নানা ধরনের সিরাম পাওয়া যায়। কোনও কোনও সিরাম আবার রাসায়নিক দিয়েও তৈরি। সেই রাসায়নিক সকলের মুখে সহ্য না-ও হতে পারে। তাই বাড়িতেই সহজে সিরাম বানানোর পদ্ধতি রইল এখানে।
সহকর্মীর কাছে বয়স কমানোর সেরামের গুণাগুণ শুনে দুম করে দাম দিয়ে একটা কিনে ফেলেছেন। এক দিন মাখতে না মাখতেই মুখে যেন কী সব বেরোতে শুরু করেছে। বুঝতেই পেরেছেন, এই প্রসাধনীটি ত্বকে সহ্য হচ্ছে না। বিপরীত প্রতিক্রিয়া হচ্ছে। ত্বক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের প্রসাধনীতে বিভিন্ন উপাদান এত সক্রিয় অবস্থায় থাকে যে, সকলের ত্বকে তা কাজ না-ও করতে পারে। আবার তারুণ্য ধরে রাখতে গেলে একটা বয়সের পর থেকে মুখে অ্যান্টি-এজিং সিরাম মাখাও জরুরি। তবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বাড়িতেই কিন্তু এই সিরাম তৈরি করে ফেলা যায়।
রোজহিপ অয়েল: ১ টেবিল চামচ (রোজহিপ অয়েল এক ধরণের প্রেসড সিড অয়েল যা বুনো গোলাপ গুল্ম থেকে বের করা হয়। এটিতে বিটা ক্যারোটিনের পাশাপাশি লিনোলিক এবং ওলিক এসিড থাকে।
অর্গান অয়েল: ১ টেবিল চামচ ( আটলান্টিক মহাসাগরের তট ঘেঁষে উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কোতে মেলে আর্গন গাছ। এ গাছের ফলের শক্ত খোলস ভাঙলেই পাওয়া যায় বাদামজাতীয় দানা। তারই শাঁস থেকে অর্গান অয়েল তৈরি হয়।
জোজোবা অয়েল: ১ টেবিল চামচ
ভিটামিন ই অয়েল: ৫ ফোঁটা
ল্যাভেন্ডার অয়েল: ৫ ফোঁটা
জেরেনিয়াম অয়েল: ৩ ফোঁটা
১) প্রথমে একটি পরিষ্কার, শুকনো কাচের বায়ুরোধী শিশি নিন।
২) সব উপকরণ একসঙ্গে ঢেলে, ভাল করে মিশিয়ে নিন।
৩) মেশানো হয়ে গেলে শিশির মুখ বন্ধ করে রাখুন।
৪) তবে এই সিরাম বেশি দিন সংরক্ষণ করতে গেলে শিশির গায়ে কোনও ভাবেই রোদ লাগানো চলবে না।
৫) খেয়াল রাখতে হবে, যেন কোনও ভাবেই শিশির ভিতর পানি না ঢোকে।
কী ভাবে ব্যবহার করবেন?
১) মাইল্ড ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ভাল করে ধুয়ে নিন।
২) ত্বক অনুযায়ী টোনার মুখে স্প্রে করে নিতে পারেন।
৩) এ বার কয়েক ফোঁটা সিরাম সারা মুখে, গলায়, ঘাড়ে বিন্দু বিন্দু করে মেখে নিন।
৪) মুখে তো বটেই, চোখের চারপাশেও হালকা হাতে মাসাজ করুন।
সূত্র: আনন্দবাজার
এফআর/অননিউজ