নীলফামারীতে বৃষ্টিপাত না থাকায় ফসলের ক্ষেত ফেটে চৌচির বিপাকে কৃষক
নীলফামারী প্রতিনিধি।।
বৃষ্টিপাতের অভাবে ফসলের ক্ষেত ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে । ভরা আমন মৌসুমে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের অভাবে কৃষকেরা আমন ধানের চারা রোপন করতে পারছে না । অনেকে সেচ পাম্পের মাধ্যমে জমিতে পানি দিয়ে চারা রোপন করলেও অনেক কৃষক ই বসে আছেন বৃষ্টির অপেক্ষায় । কৃষক সেচ পাম্পের মাধ্যমে জমিতে চারা রোপন করায় বেড়ে যাচ্ছে উৎপাদন খরচ। এ অবস্থায় কৃষি বিভাগ শেচ পাম্পের মাধ্যমেই আমন চারা রোপনের পরামর্শ দিচ্ছে কৃষকদের।
পানির অভাবে পাট কাটার পর পাট পচাতে (জাগ) দিতেভপারছেন না। অনেকের পাট রোদে পড়ে থাকতে থাকতে নষ্ট হয়ে গেছে। আকাশে মেঘের দেখা মিললেও বৃষ্টির দেখা নেই । বৃষ্টির অভাবে জমি খাঁ খাঁ করছে এমন অবস্থায় আমন চাষীরা পড়েছে চরম বিপাকে। এসময় টি আমন রোপনের উপযুক্ত সময়। বৃষ্টির অপেক্ষায় থাকা অনেক কৃষকেরই বীজতলা নষ্ট হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, জেলায় আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার ১০৫ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে সৈয়দপুর উপজেলায় আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮ হাজার ২শ ১০ হেক্টর। কিশোরীগঞ্জ উপজেলায় আমনের লক্ষমাত্রা নিধারণ করা হয়েছে ৮শ ৮৫ হেক্টর জমিতে। ডোমার উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪শ ৩৫ হেক্টর জমিতে। ডিমলা উপজেলায় আমনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ হাজার ৪শ ৩৮ হেক্টট জমিতে।
সৈয়দপুর উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের কৃষক আনিছুর রহমান জানান, ৮ বিঘা জমিতে আমন রোপন করেছেন। আষাঢ় মাসে বৃষ্টি না হওয়ায় তিনি মর্টারের সাহায্যে সেচ দিয়ে চারা রোপন করেছেন। তবে এতে তার খরচ বেশী পড়েছে।
কিশোরীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের বড়ভিটা গ্রামের কৃষক সাফিউল রহমান জানান, পানির অভাবে আমন আবাদ নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন। এক বিঘা জমিতে ধান রোপন করতে খরচ হয়ে থাকে সাড়ে তিন হাজার টাকা। এখন পানি সংগ্রহ করে রোপন করতে বিঘা প্রতি অতিরিক্ত গুনতে হচ্ছে দের থেকে ২ হাজার টাকা।
নীলফামারী সদর উপজেলা ইটাখোলা ইউনিয়নের কৃষক আফছার আলি জানান, আমন রোপন নিয়ে ব্যস্ততায় আছেন। পানি না হওয়ায় পড়েছেন চিন্তায়। তিনি বলেন এ মাসে যদি আমন রোপন করা না যায়, তাহলে কোন লাভ হবে না। কারণ মাসের শেষে ধান রোপন করলে ফলন ভাল হবে না।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. এস, এম,আবু বক্কর সাইফুল ইসলাম জানান , এবার জেলায় আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার ১০৫ হেক্টর জমিতে। পানির অভাবে আমন আবাদে ব্যঘাত না ঘটে কৃষকদের সেচ দিয়ে আমন রোপণের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে কৃষি বিভাগ থেকে। আর এ বিষয়ে সব সময় কৃষকের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন মাঠ পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা।
এফআর/অননিউজ